(দিনাজপুর২৪.কম) তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন আর ইনজুরিতে লিটন দাস, এতেই এশিয়া কাপে ওপেনার সঙ্কটে পড়ে গেছে টিম বাংলাদেশ। বাধ্য হয়েই ভাবা হচ্ছে মেকশিফট ওপেনারের কথা। একই সঙ্গে চোখ রাখতে হচ্ছে ভবিষ্যতেও। কেননা সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা এখন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে, তাদের বিকল্পও তো খুঁজে বের করতে হবে। বিষয়টা মাথায় রেখেই জেমি সিডন্সকে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজে লাগাতে চাইছে বিসিবি। এই আগে অস্ট্রেলিয়ান কোচও ভীষণ আগ্রহী। তবে কাজের ফল দেখানোর জন্য বিসিবির কাছে এক বছর সময় চেয়েছেন তিনি।
তরুণ এবং উঠতি ব্যাটারদের শানিত করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করবেন, এমন প্রতিশ্রæতি দিয়েই ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ফেরেন সিডন্স। কিন্তু তিনি আসার পরই জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদে ইস্তফা দেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। যে কারণে সিডন্স বনে যান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ। যার কারণে জাতীয় দলের সঙ্গেই আছেন তিনি। তবে এবার তাকে নতুনভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে বিসিবি।
সংস্থাটির প্রধান কর্তা নাজমুল হাসান পাপন বললেন, সিডন্সের সঙ্গে কথা আগে থেকেই ছিল যে শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করবে না, ডেভেলপমেন্টেও কাজ করবে। ওরও ইচ্ছে এরকমই ছিল। কিন্তু এখানে আসার পর শুধু জাতীয় দলের সঙ্গেই ভ্রমণ করছে। ডেভেলপমেন্টে কাজই করতে পারছে না। জাতীয় দলের ব্যস্ততার ফাঁকে সময়ই পাচ্ছে না। সামনে সে মূলত ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে।
তার মূল কাজ হবে পজিশন ধরে ধরে টিম বাংলাদেশের জন্য ব্যাটার তৈরি করা। বিসিবি বস বললেন, ‘বিভিন্ন বয়সি ১০-১৫-২০টি ছেলে যদি আমরা তাকে দিয়ে দিই, এইচপিতে এরকম ছেলে আছে। এ দলে আছে, বাংলাদেশ টাইগার্সে আছে। ওদের নিয়ে কাজ করে সে তৈরি করে দেবে। সে এক বছর সময় চাচ্ছে। এরপর সে পজিশন ধরে ধরে আমাদের ব্যাটসম্যান দিতে পারবে।’ তবে সিডন্স নতুন এই দায়িত্ব নিলে আসন্ন এশিয়া কাপে কোচিং স্টাফে শূন্যতা তৈরি হবে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে বিসিবিকে। -অনলাইন ডেস্ক
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।