(দিনাজপুর২৪.কম) বাংলা ও হিন্দি গানের পাশাপাশি একাধিক ভাষায় গান গেয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ভক্তরা ভালোবেসে তার নাম দিয়েছিল কেকে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুর মঞ্চে গাইতে এসে অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। অনেকেই এটাকে শুধু মৃত্যু নয়, হত্যা হিসেবে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
কেকে’র মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে কথা বলেছেন নির্মাতা ও সংগীত পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তিনিও মনে করেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
পাঠকের জন্য তার সেই স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো-‘সারা রাত ধরে কলকাতার নজরুল মঞ্চে কেকে’র কনসার্টের ছোটছোট ক্লিপ আর সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের লেখা থেকে যা বুঝলাম- তাকে জাস্ট মেরে ফেলা হয়েছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ দর্শক প্রবেশ করায় আয়োজকরা। সেটাকে থামাতে না পেরে নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের সবগুলো এসি বন্ধ করে দেয়। কেকে বারবার জানান, তার এই গরমে গাইতে কষ্ট হচ্ছে, গানের ফাঁকে বারবার তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছছিলেন! একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়ামে হাজার কিলো লাইটের মাঝে এসি ছাড়া কি করে টিকে থাকা সম্ভব, তার পরে আবার গান করে যাওয়া!
ভিড় ঠেকাতে এসি বন্ধ রাখার সময় নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের একবারও কী মনে হয়নি মানুষটা এই গুমোট আর গরমে দমটা নেবে কি করে, গাইবে বা কি করে! শিল্পীর প্রতি পৃথিবী বরাবরই নির্দয়, শিল্পীকে সম্পূর্ণ নিংড়ে নিয়ে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়াই পৃথিবীর কাজ।
কেকে’র মতো এমন অসামান্য জনপ্রিয় একজন শিল্পী দীর্ঘদিন মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অবহেলিত ছিলেন, খুব একটা কাজ পাচ্ছিলেন না, অথচ তার হিট গানের কোনো কমতি ছিল না! শিল্পীর একমাত্র লোভ পারফর্ম করে যাওয়া। আমার খালি বারবার মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন পর এত বিগ ক্রাউডের সামনে তার নিশ্চয়ই গাইতে খুব ভালো লাগছিল, তাই তিনি এই গরম আর গুমোটকে উপেক্ষা করে হাসিমুখে গাইছিলেন। অথচ তিনি জানতেনই না তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হতে এসেছেন! আমি এটাকে নিছক স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মানতে চাই না, এটা হত্যা! একজন মানুষ একজন শিল্পী হিসেবে আমি এই হত্যার বিচার চাই।’-অনলাইন ডেস্ক