হারুন উর রশীদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’। যাকে ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরোপ করা হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, অনুসরণ করতে বলা হচ্ছে বিধিনিষেধ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে, সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা ভাইরাসটির নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি থেকে ঠিক কতটা নিরাপদ সেটা বরাবরই ভাবার বিষয়।
ভাইরাসটির নতুন এই ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে বহির্বিশ্ব ইতোমধ্যে অবলম্বন করছে নানা পন্থা, আরোপ করেছে নতুন নতুন বিধিনিষেধ। এমনকি, ত্বরান্বিত করছে টিকাদান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছে নানাবিধ বিধিনিষেধ অনুসরণের মাধ্যমে, ফলপ্রসূ হিসেবে টিকাদান ক্যাম্পেইন অনেকটা সফলতার পথে।
তবে চলমান টিকাদান প্রক্রিয়ার মাঝে এও বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেওয়া সকল টিকা করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকরী হবে না। তারই ধারাবাহিকতায় মডার্নার মুখ্য গবেষক ড. পল বার্টন জানিয়েছেন, ২০২২ সালের আগে পাওয়া যাবে না করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভ্যাকসিন।
এমতাবস্থায়, দিনাজপুর জেলা, যা কিনা বর্ডার এলাকার সমন্বয়, সেখানে এখনও পরিলক্ষিত হচ্ছে না তেমন কোনো তৎপরতা, নেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এদিকে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে শক্তিশালী হলেও ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু, তবে অস্বাভাবিক।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল এসোসিয়েশনের পরিচালক ‘অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি’প্রথম শনাক্ত করেন করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।