(দিনাজপুর২৪.কম) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ২টি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানাধীন গান্দাচি এলাকার হোসেন মজুমদার ছেলে মো. শাখাওয়াত হোসেন জুয়েলকে (৪৮) আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহম্মেদ।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ছিল এ কথা স্বীকার করেছেন আটক শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল।
২০১৪ সালে শাখাওয়াত হোসেন জুয়েলের সাথে ও কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহআলমের জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যার পরদিন ২৩ নভেম্বর রাতে শাহআলম নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওইদিন রাতেই শাহআলম জুয়েলকে অস্ত্রগুলো নিরাপদে রাখতে বলে। জুয়েলের বাড়িতে একদিন থাকার পর ২৪ নভেম্বর অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যান শাহআলম।
৩০ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে শাহআলম ও জুয়েলকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাস।
এম তানভীর আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল স্বীকার করেছে এগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র। আমরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করবো। তিনি জানান, অপর আসামি শাহআলমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।