(দিনাজপুর২৪.কম) ক্রেতা নেই ডিমের বাজারে। চাহিদা কমেছে ডিমের। গত সপ্তাহে যে ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সেই ডিমের দাম এবার তার চেয়েও বেশি গতিতে কমছে। সপ্তাহের শুরুতে যে ডিমের ডজন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় উঠেছিল বুধবার (১৭ আগস্ট) সেই ডিম ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে আর বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। ঢাকা শহরের অলি-গলির দোকানগুলোতে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বাজারের বড় দোকানগুলোতে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকাতেই মিলছে। আর পাইকারিতে একশ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯২০ থেকে ৯৪০ টাকায়।
যে ডিমের দাম কখনো ১০ টাকার ওপরে যায়না জ্বালানি তেলের দাম বাড়া ও মুরগির খাবারের দাম বেশি দেখিয়ে সেই ডিম ১৪ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠে। যার ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে অনেকেই এক সপ্তাহ ডিম বয়কটের ঘোষণা দেন। এদিকে বুধবার ডিমের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় আমদানিরও হুমকি দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। যার ফলে ডিমের বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, তেজগাও ও কাপ্তান বাজারে ডিমের পাইকারি দোকানগুলোতে খোজ নিয়ে জানা যায়, গত দুইদিন যাবত চাহিদা কমেছে ডিমের। ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়েই দাম কমাচ্ছেন বিক্রেতারা।
কাপ্তানবাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, ১২ টাকায় কেনা ডিম ৯.২০ টাকায় বিক্রি করছি। একেবারেই চাহিদা নেই ডিমের। কাস্টমার ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
ডিম আমদানির খবরে দাম কমছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিম আমদানি করলে চাষিরা তো মারা পড়বে। এই যে এখন চাহিদা কমায় খামারিরা ডিম বিক্রি করতে পারছেন না। ডিম আমদানি না করে খাবারের দাম কমাতে বলেন। তাহলে ডিমের দামও কমবে। বেশি দামে খাবার কিনে কম দামে মুরগি ডিম বিক্রি করায় খামারিদের লোকসান হচ্ছে।
এদিকে তেজগাও বাজারের পাইকারি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, ৯৪০ টাকায় ডিম বিক্রি করছি। দাম আরও কমবে। বাজারে একেবারেই ডিমের ক্রেতা নেই। দোকানে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ডিম।
এদিকে কাওরান বাজারে ডিম ব্যবসায়ী শরিফুল বলেন, ১২০ টাকায় ডিম বিক্রি করছি তাও ক্রেতা নেই। যখন দাম বাড়ছিল তখন অনেকেই বেশি করে ডিম কিনে রেখেছেন। দাম বেশি দেখে অনেকেই ডিম খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। অনেক হোটেলই দাম বেশি দেখে ডিম বিক্রি বাদ দিয়েছেন। যার ফলে একেবারে ডিমের ক্রেতা নেই।
মিরপুর পীরেরবাগের মুদি দোকানি আল-আমিন বলেন, সপ্তাহের শুরুতে ডিম আনতে আনতেই ফুরিয়ে যেত। আর এখন একেবারেই ডিমের ক্রেতা নেই। ১৪০ টাকা ডজন ডিম কিনে এখন ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।
কাওরান বাজার থেকে ১২০ টাকা ডজন ডিম কিনে খুশি রফিকুল ইসলাম। গত শনিবার ১৫০ টাকায় এক ডজন ডিম কিনেছিলাম। আর আজ কিনলাম ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে হঠাৎ করেই যেসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তা ডিমের মতো কমা দরকার বলে মনে করেন তিনি। -নিউজ ডেস্ক
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।