(দিনাজপুর২৪.কম) ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে পৃথক দুটি ধারায় মোট আট বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় একটি ধারায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মিজানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবং বাছিরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন, অর্থপাচার এবং দণ্ডবিধির আওতায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
বাছিরের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। আর মিজানুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর আদালত চার্জ গঠনের তারিখ দিয়ে মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বদলির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। -অনলাইন ডেস্ক