স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান তথা সেনা কল্যাণ ঈদগাহ মাঠে।
আয়োজকদের দাবি: এবার শোলাকিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে এ ঈদের জামাত। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবে এ জামাতে। ইতোমধ্যে ঈদগাহ মাঠের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে এবার প্রথম ঈদ জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
দিনাজপুরের এই ঐতিহাসিক ঈদগাহ গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে। ২০১৫ সালে এ নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণের প্রায় দেড় বছরে এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়।
এই ঈদগাহে রয়েছে ৫২ গম্বুজের দুই পাশে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝখানে দু’টি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট।
দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ্ মিনারটি। মাঠ আরও বড় করতে ঈদগাহের পেছনে শত বছরের স্টেশন ক্লাব ভেঙ্গে ফেলা হবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি পর্যন্ত স্টেশন ক্লাবটি ভেঙ্গে ফেলা হয়নি। এ জন্য মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি কাজ চলছে পুরোদমে। যেখানে খাল রয়েছে সেই জায়গাগুলো বালি-মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ঈদগাহ মাঠ নামাজ আদায়ের জন্য তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। গোটা মাঠ যেন সবুজের ঘাসের আস্তরণে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। দিনাজপুরবাসী আশা করছে, এবারও এই ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
দিনাজপুর সদর আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই বড় ঈদ জামাতের উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব শামসুল ইসলাম কাশেমী।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের দাবী শুধু বাংলাদেশই নয়, উপ-মহাদেশে এতো বড় মিনার সম্বলিত ঈদগাহ মাঠ আর একটিও নেই। এ বছর প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি অংশ গ্রহণে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে যা শোলাকিয়ার চেয়ে অনেক বড়। লোক সমাগম বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।