(দিনাজপুর২৪.কম) মার্কিন স্কুলশিক্ষিকা মারিসা ফোতিও শিকাগো থেকে বিমানে করে আইসল্যান্ডে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গলায় ব্যথা অনুভব করেন। এরপর সঙ্গে থাকা র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে চলে যান বিমানের টয়লেটে। সেখানে পরীক্ষা করে দেখেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত। এ সময় যাত্রীদের কথা ভেবে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা বিমানের টয়লেটে কাটিয়ে দেন এই স্কুলশিক্ষিকা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর এমন ঘটনা ঘটে। মারিসা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভয় ছিল যে বিমানটিতে ১৫০ জন যাত্রী ছিল। তাদের কাছে গেলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এই কাজটি আমি করতে চাইনি’।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কাছে দৌড়ে যাই। আমি কাঁদছিলাম। আমার পরিবারের জন্য চিন্তায় ছিলাম, কারণ তাদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে এসেছি। প্লেনের অন্য লোকদের জন্যও চিন্তা হচ্ছিল, নিজের জন্য তো অবশ্যই।
বিমানের টয়লেটে আইসোলেশনে থাকার সময় চার মিনিটের একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা পোস্টও করেন মারিসা। ভিডিওটি চার মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেখেন।
সঙ্গে পিসিআর কিট রাখার বিষয়ে ফোতিও বলেন, ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পড়ানোর কারণে সব সময়ই নিজের সঙ্গে পিসিআর টেস্ট কিট রাখেন তিনি। যেহেতু বাচ্চারা এখনও টিকা নিতে পারছে না, তাই সন্দেহ হলেই করোনা টেস্ট করেন তিনি।
ওই বিমানের একজন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট জানান, মারিসা তাকে ফলাফলের কথা জানানোর পর বিমানের আসনবিন্যাস পরিবর্তন করে তাকে একা বসানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সবগুলো আসন পূর্ণ থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ টয়লেটেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন মারিসা।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইসোলেশনে থাকার সময় একজন বিমানবালা মারিসাকে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করেন। আর আইসল্যান্ডে পৌঁছালে সেখানকার রেড ক্রস হোটেলে তার আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি।-অনলাইন ডেস্ক