স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুর সদরের ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি স্কুলছাত্র মিনারুল ইসলাম মিনারের (১৬) লাশ এখনো ফিরে পায়নি পরিবার। তার মা-বাবা এখন সন্তানের লাশ পেতে ব্যাকুল আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিকবার যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মিনারুলের লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। মিনার সদর উপজেলার খানপুর ভিতরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে খানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মিনার পড়াশোনার পাশাপাশি রংমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করত। সে গত বুধবার বিকেলে কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবার জানতে পারে, বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দাইনুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ভারতীয় জমিতে স্থানীয় লোকজন তার লাশ দেখতে পান। গতকাল রোববার দুপুরে মিনারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবা শোকে নির্বাক হয়ে পড়েছেন। স্বজনেরা চেষ্টা করছেন তাঁদের কিছু খাওয়াতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান জানান, শনিবার সকালে তিনি মিনারের বাবার সঙ্গে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএসএফ মিনারের লাশ দেখিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। তারপর তাঁদের সেখানে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে মিনারের মা মিনারা বেগম গতকাল সকালে সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখিল করেছেন। এতে তিনি বলেন, আসামিরা তাঁর নাবালক ছেলেকে ডেকে নিয়ে সীমান্তে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা শাহ বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’