প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ১০:৩৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ২:০২ অপরাহ্ণ
ভিড়ের মাঝে বিক্রিও বেশ
(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বইমেলার তৃতীয় দিন শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আর এ ছুটির দিনে নগরীর নানান প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী-পাঠকের ঢল নামে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে। দর্শনার্থী-পাঠকের এমন উপস্থিতিতে বিক্রিও হয়েছে বেশ, সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবারের তুলনায় দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। তবে বিকেল থেকে বাড়তে থাকে ভিড়, সন্ধ্যার পর এ ভিড় আরও বাড়ে। আগতদের মধ্যে অনেকেই কিনছিলেন বই, আবার কেউ কেউ স্টল ঘুরে ঘুরে তৈরি করছিলেন পছন্দের বইয়ের তালিকা। কয়েকজন বন্ধুসহ রাজধানীর মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলে চড়ে বইমেলায় এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা সালমান। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই মেলায় আসি। প্রতিবারই ৫/৬ বার মেলায় আসা হয়। আজকে শওকত আলীর 'নাড়াই' ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বইয়ের পকেট ভার্সনটা কিনেছি। মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছি সে অনুসারে একটা পছন্দের বইয়ের একটা তালিকাও তৈরি করছি।
শনিবার সকাল ১১টায় খুলে মেলার দুয়ার। বেলা ১১টা থেকে ১টা ‘শিশু প্রহরে’ পুরোটা সময় ছিল শিশুদের সরব উপস্থিতি। এবারের বইমেলায় শিশুচত্বরটি রমনা কালী মন্দির গেটের ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। শিশুপ্রহরে বাবা মায়ের হাত ধরে মেলার শিশুচত্বর প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ায় শিশুরা। শিশুরা সিসিমপুরের ইকরি, মিকরি, হালুম ও শিকুদের সাথে নেচে, গেয়ে ,ছবি তুলে পুরো সময়টা মাতিয়ে রাখে মেলা প্রাঙ্গণ।
শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশনী ময়ূরপঙ্খির স্বতাধিকারী চন্দনার মুখেও ছিল মেলা নিয়ে সন্তষ্টির কথা। তিনি বলেন, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় এবার শুরু থেকেই মেলায় দর্শনার্থী-পাঠকের ভিড় বেশি। সেক্ষেত্রে মেট্রোরেলের একটা বড় প্রভাব আছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
অবসর প্রকাশনীর ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, মেলায় প্রচুর সমাগম হচ্ছে। মেলার প্রথমদিকে তো পাঠকরা সাধারণত সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখে, সে হিসেবে বিক্রিও মোটামুটি ভালোই। আমরা থ্রিলার, অনুবাদ, মননশীল প্রবন্ধ, গবেষণামূলক বই বের করি। ক্রেতাদের মধ্যে অনুবাদ ও থ্রিলার জনরার বইয়ে আগ্রহ বেশি।
[caption id="" align="alignnone" width="850"] ছবি-সংগ্রহীত[/caption]
ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিপণনকর্মী কাজী সুলতান মাহমুদ জানান, আমাদের প্রায় ২৩০ টির মত নতুন বই আসছে এবছর। এর মাঝে সবধরনের বই বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো কোনো পাঠক ক্যাটালগ দেখছে। মেলার প্রথমদিক হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট। আগামী প্রকাশনী থেকে ক্যাটালগ খুঁজে নিচ্ছিলেন আরিফুর রহমান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় থেকেই বইমেলায় নিয়মিত আসা হত। এবার শুরুতে এসে দেখছি কি কি বই বের হল। সে অনুসারে বইকেনার একটা তালিকা তৈরি করছি। বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বইয়ের তালিকা অনুসারে বইমেলার তৃতীয় দিনে নতুন বই এসেছে ৭৪টি। এছাটা শনিবার বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিশতজন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল মধুসূদন দত্ত শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিকউল্লাহ খান। এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা।
রোববারের অনুষ্ঠান
রোববার বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন। -নিউজ ডেস্ক
@2024