প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১২:৪২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
খৎনার সময় শিশুর অতিরিক্ত রক্তপাত, পালালো চিকিৎসক
(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খৎনা করার সময় আল নাহিয়ান তাজবীর (৮) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জরুরি বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিজয় কুমার দে’র অনুপস্থিতে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে আল নাহিয়ান তাজবীরের (৮) খৎনা করার সময় পুরুষাঙ্গের মাথার অংশ কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। শিশুটির আত্ম চিৎকারে তার পিতা মো. আলমগীর হোসেন দ্রুত অপারেশন রুমে ঢুকে দেখতে পান তার সন্তানের রক্তাক্ত অবস্থায় কেবিনের বেড ভিজে যায়। এসময় শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকসহ সহযোগী ২ জন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবু নাছের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক শিশু আল-নাহিয়ান তাজবীরকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, সৌরভ ভৌমিক সিভিল সার্জনের অনুমতি প্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে। তার অনুপস্থিতে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে খৎনা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
সেলিম বলেন, পুরো ব্যাপারটা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। সিভিল সার্জন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের জিজ্ঞেস করলাম ডাক্তার কোথায়? তারা বলে ডাক্তার লাগবে না আমরা পারব। আমার ছেলেকে গরুর মত তড়িঘড়ি করে খৎনা করতে গিয়ে তার লিঙ্গের মাথা কেটে ফেলে। এতে রক্তে পুরো বেড ভেসে যায়। পরে আমি তাদেরকে ধরতে গেলে সৌরভ ভৌমিকসহ ৩ জনই পালিয়ে যায়। পরে ডাক্তার এসে আমার ছেলেকে ৩য় তলায় ভর্তি করে। আমার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক। আমি এদের বিচার চাই। -নিউজ ডেস্ক