দিলীপ কুমার রায় (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষীরা। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলার হাটিয়ারী, বাইশপুর, সাহাপুর ও মল্লিকপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে আলু চাষীরা কামলা নিয়ে আলু তুলছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু উত্তোলন নিয়ে দিন পারকরছেন আলু চাষীরা। গতকাল রবিবার মাঠে মাঠে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতারা আলু চাষীদের জমি থেকে আলু ক্রয় করছেন ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে। আলুর ফলন ভাল এবং দাম বেশী হওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখছেন কৃষক।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৬শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। ২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে চলতি মৌসুমে। আলু লাগানোর সময় বীজের দাম বেশী থাকার কারনে লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করতে পারেনি বলে দাবী করছেন কৃষি বিভাগ।
রবিবার উপজেলার হাটিয়ারী গ্রামের আলু চাষী পুলিন চন্দ্র রায় জানান, বর্তমানে প্রতি একরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১৩ থেকে ১৪ মেট্রিক টন । প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৪ টাকা কেজি দরে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি একরে আলূতে লাভ হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক গোপাল চন্দ্র ১ একর জমিতে আলু লাগিয়ে ছিলেন খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। দৌলতপুর গ্রামের কৃষক অমিত চন্দ্র রায় বলেন, ৫০ শতক জমিতে তিনি এবার স্টারিজ জাতের আলু চাষ করে লাভ হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা। তারগাঁও ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন মোঃ মাহফুজ হাসান বলেন, আলুর বিভিন্ন উপকরনের দামি বেশী ছিল যখন আলু লাগানো হয়। কৃষকেরা আলুর প্রতি যতœশীল ছিলেন, কৃষি বিভাগ সব সময় আলু চাষীরদের পরামর্শ দিয়েছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, এবার আলু বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম বেশী থাকায় কৃষকেরা অতিরিক্ত মুনাফা পেয়েছেন। কৃষি বিভাগ আলু চাষীদের সকল প্রকার সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন।