(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত আদেশ না পাওয়ায় আগামীকাল স্কুল খোলা নাকি বন্ধ— এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও উচ্চ আদালতের আদেশ মেনে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও ইস্কাটনের এজি চার্চ স্কুল আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করেছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগ থেকে আপিল করা হয়নি, আবার নতুন কোনো আদেশও দেয়নি। তাই তারা আগামীকাল স্কুল বন্ধ রাখবেন।
মূলত পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত রোববার স্কুল–কলেজ চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক দিন পর ক্লাসে ফেরে। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।
গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে (আগামীকাল বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
যদিও হাইকোর্টের আদেশের পরপরই দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছিলেন, শিশুশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় এবং হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আপিল না করা এবং চুপ থাকা মানে আদালতকে সম্মান করা। অর্থাৎ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামীকাল বন্ধ থাকবে। -ডেস্ক রিপোর্ট