(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বান্দরবানের লামায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৩টায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে কমপক্ষে সহস্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে।
রাস্তার পাশে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে ৩০টির ওপর বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। অসংখ্য স্থানে তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে সব এলাকায় কমবেশি বিধ্বস্ত হয়েছে। সবকয়টি ইউনিয়নে ছোটবড় বহুঘর আংশিক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘর চাপা পড়ে ছাগল মারা গেছে।
রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, গতরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বৈদ্যভিটা ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার ৬টি ছাগল মারা গেছে। গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে গাছ কেটে যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছি। কমবেশি সব মানুষের ক্ষতি হয়েছে। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে সহায়তা করা হবে।
লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার হাবীব বলেন, আমাদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা ইউএনওর সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
লামা ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সব কয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। -নিউজ ডেস্ক