(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) টানা কয়েকদিনের দাবদাহের কারণে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি আমাদের কষ্ট কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, দাবদাহে ফসল নষ্ট হয়েছে। আর অতিরিক্ত গরমে বারবার ক্ষেতে সেচ দেওয়ার কারণে সবজির উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের দাম।
বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[caption id="" align="alignnone" width="828"] ছবি-সংগ্রহীত[/caption]
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস মানভেদে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালীর বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমের অযুহাত দিয়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। এখন বাজারে ৫০/৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। একদিনে অতিরিক্ত গরমে আমাদের মতো মানুষরা কষ্ট পাচ্ছে, অন্যদিকে সবজিসহ অন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে কষ্ট যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর বোঝা গিয়ে পড়ে সাধারণ ক্রেতার উপর।
[caption id="" align="alignnone" width="1684"] ছবি-সংগ্রহীত[/caption]
সবজির দাম বাড়তি নিয়ে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমের কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এর মূল কারণ অতিরিক্ত গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেত থেকে ফসল তুলতে পারছে না কৃষক, আবার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বার বার সেচ দেওয়া লাগছে জমিতে, যে কারণে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এছাড়া গেল কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছিল, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে যখন যেমন দামে মাল কিনে আনি, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখন কিনতে দাম বেশি পড়ছে, তাই বিক্রিতেও একটু বেশি দাম রাখতে হচ্ছে। -ডেস্ক রিপোর্ট