(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের ১৩৯টি উপজেলায় বুধবার (৮ মে) সকাল আটটায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোনো বিরতি ছাড়া চলছে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে অনিয়মের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া দেশের কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অনেকটা নিরুত্তাপ ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটার উপস্থিতি হার কম।
অনেক এলাকায় সকাল থেকে কেন্দ্র ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে। কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টায়ও বাক্সে কোনো ভোট পড়েনি। যদিও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সকালে অনেক এলাকায় বৃষ্টি থাকায় ভোটার আশানুরূপভাবে উপস্থিতি হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও ঘোষণা দিয়ে বর্জন করেছে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এতে নির্বাচন অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ হারিয়েছে। পাঁচটি উপজেলায় সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম। সকালে অনেক এলাকায় বৃষ্টি থাকায় ভোটার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। কোনো কোনো এলাকায় এক-দুই ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও একটা ভোটও পড়েনি।
আমাদের ফেনী প্রতিনিধি জানান, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টায় ফুলগাজী ভোট কেন্দ্রের পাঁচ বুথে একটি ভোটও পড়েনি। তাই কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুলগাজী সরকারি পাইলট হাই স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার উপস্থিত না থাকার এমন দৃশ্য দেখা যায়।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়া সদরে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। কোনো লাইন নেই। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে প্রথম এক ঘণ্টায় মাত্র চারটি ভোট পড়েছে। এরমধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান আতা ও তার ছেলে ভোট দিয়েছেন।
আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, ভোটগ্রহণের পর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে বেলা বাড়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
আমাদের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, জেলা শহরের ওয়াজির আলী স্কুলে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো ভোটার উপস্থিতি নেই। অন্যান্য ভোটকেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
আমাদের শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শ্রীবরদীর লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও লংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম। ভোটগ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করছেন। মাঝেমধ্যে ২/১ জন ভোটার এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
আমাদের রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। রাতের বৃষ্টির কারণে সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
তবে কোথাও কোথাও বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সদর ও আলিকদমে আজ ভোট হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধি জানান, সেখানে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ধরে আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে দেখা গেছে।
আমাদের নাটোর প্রতিনিধি জানান, কাঁদা মাড়িয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন নাটোরের ভোটাররা। পুরুষ ভোটারদের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতিই বেশি। -নিউজ ডেস্ক