(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত কো-পাইলট।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট জাওয়াদ মারা যান।
‘ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে’ জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কোর্সের তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানে। এখন নিয়োজিত আছেন ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর'স স্কুল অফ বিএএফএ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে।
নিজের ট্রেনিং জীবনে সকল বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন ‘সোর্ড অফ অনার’। এসসিপিএসসি থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ‘সোর্ড অফ অনার’ বিজয়ী। ‘ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস’ কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন ‘মফিজ ট্রফি’। এছাড়া দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আকাশে আগুন ধরার পর সেটি পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এর আগে বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুটে নামেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট অসীম জাওয়াদ মারা যান।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াইএকে১৩০-এ আগুন ধরে যায়। এ সময় পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুটে নেমে আসেন। পরে বিমানটি টার্মিনালের বে এরিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুই পাইলটকে আহত অবস্থায় পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাইলট অসীম জাওয়াদ মারা যান। আহত কো-পাইলট চিকিৎসাধীন আছেন। -নিউজ ডেস্ক