(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো টাকা লুট করে পাচার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে একটা হ্যাক হয়েছে, তাদের চেহারা দেখে বোঝা যায়। সাংবাদিকরা সেখানে ঢুকতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কি কোনো নিষিদ্ধপল্লী যে সাংবাদিক ঢুকতে পারবে না! সাংবাদিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সেখানে ঢুকবে কি ঢুকবে না।
শনিবার (১৮ মে) নয়াপল্টনের একটি রেস্টুরেন্টে জিয়া মঞ্চের ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকরা কেন বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করবে— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের পর জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবাই চাকরি হারানোর ভয়ে আছে। তাই অনেক সত্য অপ্রকাশিত থাকছে। সাংবাদিক নির্যাতনের কোনো বিচার নেই। সাগর-রুনীর হত্যার তদন্ত ১০৮ বার পেছানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের পণ্য বয়কটের কথা বলবো না, তবে নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে ভারতের পণ্য ক্রয় করার আগে। কেননা তাদের ৫২৭টি পণ্য ইউরোপ ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের জন্য ক্ষতিকর আওয়ামী লীগকেও বর্জন করতে হবে।
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেররা কোথায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি রাজাকার ছিলো গোপালগঞ্জে। এখন গোপালগঞ্জে হারিকেন দিয়েও রাজাকার পাওয়া যায় না। এখন মুজিব কোট পরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়ে গেছেন। তাদের কারো নাম এখন রাজাকারের তালিকায় নেই। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা নাই, সেটা বলা যাবে না, তবে যারা আছে সবাই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগ ফেরিওয়ালার মতো বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় দাড়িয়েছে কয়দিন পরে মানুষ টের পাবে। কোষাগার খালি, ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। শিল্প-কারখানা বন্ধ হতে বসেছে। চাকরির বাজারে হাহাকার। বন্ধ নেই লুটপাট। লুটপাট করা সংবিধানে লেখা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে লুটপাট যেন অলিখিত সংবিধান।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের ভোটররাও কেন্দ্রে যায় না। তারাও জানে, আমরা ভোট দেই আর না দেই আমাদের প্রার্থী জয়ী হবে। আমাদের প্রভু রাষ্ট্রের সমর্থনের প্রয়োজন নেই। ভোট বর্জন করে দেশের মানুষ আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।
দলের আন্দোলন প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপিতে ভেজাল মাল থাকলে আন্দোলনের পথ আরও লম্বা হবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মঞ্চের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল্লা ইকবাল, সিনিয়র সহ সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন, নাজমুল হাসান, আফজাল হোসেন প্রমুখ। -নিউজ ডেস্ক