(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ অভিযানে আটক ৩ নারীসহ ২১ দালালকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের অনেককে ছাড়িয়ে নিতে বিভিন্ন মহল থেকে জোর তদবির চলেছে। এই দালালদের নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
গতকাল রোববার (১৯ মে) সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এবিষয়ে দুপুরে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
তিনি জানান, এই দালালরা মূলত বিভিন্ন বেসরকরি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগ করা কর্মচারী। তারা মেডিকেল হাসপাতালে সেবা বা চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, এটেন্ডেট বা স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো। এমন ৩ নারী ও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভসহ ২১ দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- রোজিনা খাতুন ওরফে রুনা (৩০), শাহানা বেগম ওরফে শাহনাজ (৩৪), মোসাম্মত বৃষ্টি (২৪), অপসনিন ফার্মার রিপ্রেজেন্টেটিভ আশরাফুল আলম ওরফে চান মিয়া (৩২), শরিফুল ইসলাম (৩৩), অপসোনিন ফার্মার প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান (৩৬), বিকন ফার্মার রিপ্রেজেন্টেটিভ শাহীন জামান (৩৫), সায়নোফিয়া ফার্মার রিপ্রেজেন্টেটিভ শাওন মন্ডল (৩০), জিসকো ফার্মার রিপ্রেজেন্টেটিভ জুলকার নয়ন (২৭), রেনেটা ফার্মার রিপ্রেজেনটিভ আয়নাল হোসেন (৩৪), মুস্তাক আহমেদ (৩০), হাবিবুল আরেফিন সোহাগ (২৯), ঈদুল রহমান (২৯), রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৬), হাসিবুল আল আসাদ (৩০), রাশেদ আলী (৪০), নাহিদ হাসান (২৪), মাসুম বিল্লাহ (৩২), মোরসালিন ইসলাম (২৫), আনিসুর রহমান (৪০), আরিফিন আলী (৪০), শ্রী তমাল রায় (২৬)।
আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, কোতোয়ালী থানার কয়েকজন পুলিশের একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটকের অভিযান পরিচালনা করেন। মেডিকেলের দালাল বিরোধী অভিযানে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ৩ নারী ও ১৯ পুরুষকে আটক করা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
তিনি বলেন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত ৮০ শতাংশ দরিদ্র সেবা প্রার্থীরা নানাভাবে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হন। কিছু সংখ্যক দালাল রোগী ও রোগীর নিকটে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা চুরি করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে আটক করা গেলেও মোস্ট ওয়ান্টেড রুনাসহ আরও বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেছে। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। দিনাজপুরে আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত সেবা প্রার্থীরা যাতে এ ধরনের ঘটনার শিকার না হয় এজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আটক ২১ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।