মঙ্গলবার , ২১ মে ২০২৪ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

ইসলামি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা উধাও

প্রতিবেদক
admin
মে ২১, ২০২৪ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অপরিচিত ব্যক্তিকে ইসলামী ব্যাংকের সেলফোন অ্যাপের গোপন (পিন) নম্বর জানিয়ে অ্যাকাউন্টের ১০ লাখ টাকা হারিয়েছেন নাসিমা আক্তার নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। নাসিমা আক্তার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী। গোলাম কিবরিয়া সৌদি আরব প্রবাসী।

নাসিমা বেগম বলেন ইসলামী ব্যাংক চৌমুহনী ব্যাংক রোড শাখার অ্যাকাউন্টে আমার ১০ লাখ ৩ হাজার ২৩১ টাকা গচ্ছিত ছিল। আমি সেলফোন অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করি। গত ৫ মে দুপুরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ আছে বলে জানানো হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মোবাইলে আসা পিন নম্বর জানতে চান। সরল বিশ্বাসে তা বলার পর আমার সেলফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক লাখ টাকা করে ১০টি স্থানান্তরের মাধ্যমে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, পরে এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে তারা কোনো সদুত্তর দেননি। আমার জানামতে, এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে সেলফোনের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক ও বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

নাসিমা বেগমের চাচাতো ভাই সাইফুর রহমান ফয়সাল বলেন, ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়া এভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হতে পারে না। ঘটনার পর আমরা ব্যাংকে গেলেও কর্মকর্তারা ভালো ব্যবহার করেননি। ইসলামী ব্যাংকের মতো একটি দায়িত্বশীল ব্যাংকের এমন আচরণে আমরা হতভম্ব।

ইসলামী ব্যাংক চৌমুহনী ব্যাংক রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. নঈম উদ্দিন টাকা উধাও হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে কোনো টাকা যায়নি। ওই নারী তার ব্যবহৃত মোবাইলে সেলফোন অ্যাপ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথামতো গোপন নম্বর বলে দেন। এতে প্রতারকরা ১০ বারে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করে নিয়ে যান। বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অবহিত করা হয়েছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস