(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঘূর্ণিঝড় রেমালের রেশ না কাটতেই দেশের ৮৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তৃতীয় ধাপে এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তবে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার কারণে তথ্য পেতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সকালে থেকে অ্যাপসে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সরেজমিন তথ্যের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে।
তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে কমিশন। ফলে ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো— বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।-ডেস্ক রিপোর্ট