(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন হাজার টাকা বিলের জন্য দেড় বছরের এক শিশু রোগীকে আটকে রাখা হয়। পরে ওই শিশুটি হাসপাতালেই মারা যায়। পরিবারের অভিযোগ, বিলের জন্য রোগীকে আটকে রাখার কারণে বিনা চিকিৎসায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। ঘটনার পরপর ঘিওর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস পুলিশের একটি টিম নিয়ে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে দেড় বছরের শিশু রেজুয়ানকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। সঠিকভাবে চিকিৎসা না দেওয়ায় শিশুটির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। পরে আজ সকাল ৮টার দিকে ওই শিশু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক। তবে রোগীকে স্থানান্তরের পরামর্শ দিলেও মাত্র তিন হাজার টাকা বিলের জন্য রোগী ও স্বজনদের আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে দুপুর ১২টার দিকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই শিশু রেজুয়ানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা ঘিওর থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে আসেন ওসি সুকুমার বিশ্বাসসহ একদল পুলিশ। তবে পুলিশ এসে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডা হয় রোগীর স্বজনদের।
এ বিষয়ে আজ রাত পৌনে ৯টার দিকে মুঠোফোনে ঘিওর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনা জানার পর আমি নিজেই মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমরা লিখিত কিছু পাইনি, তবে নিহতের স্বজনদের কাছে শুনেছি, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে যারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে শিশু রেজুয়ানের পরিবার বা স্বজনরা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো করেনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -নিউজ ডেস্ক