(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুকে গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুকে টাকায় বিচার না করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এই একটি সিদ্ধান্তের কারণে এদেশের মানুষ এখন বুক উঁচু করে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা সিদ্ধান্ত (নিজের টাকায় পদ্মা সেতু) বাংলাদেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন বুক উঁচু করে চলতে পারে। এই সেতু গর্বের। সুতরাং এটাকে টাকায় বিচার করার নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বাধা উপেক্ষা করে এই সেতু করেছি। দেশের টাকায় করেছি। এজন্য যারা জমি দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাতেই এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর জাতিকে মর্যাদাহীন করে দেওয়া হয়েছিল। খবরদারিটা আমাদের ওপর বেশি হচ্ছিল। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক কঠিন ছিল এই জায়গায় পদ্মা সেতু করা। যেটা কঠিন সেটাই তো করতে হবে। সহজটা কেন করবো। সব বাধা উপেক্ষা করে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পারায় তিনি আল্লাহ তায়াল প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করেন। তিনি এই সেতু প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দেশের মানুষের টাকায় অনেক ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে জানিয়ে তিনি, নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা আমাদের দুই পাড়ের মানুষ যারা তাদের নিজেদের জমি দান করেছেন এবং যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের অন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সাধারণত কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন না করলেও পদ্মা সেতু প্রকল্পে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেটার অনুষ্ঠান কখনও করা হয় না। তবে, পদ্মা সেতু অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে, অনেক বাধা অতিক্রম করে নির্মাণ করতে হয়েছে, যেটা করেছি সম্পূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের টাকায়। দেশের মানুষের টাকায় এই সেতুটি নির্মাণ। রেল সেতুটাও একইসঙ্গে হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চেয়েছিলাম, নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা আমাদের দুই পাড়ের মানুষ যারা তাদের নিজেদের জমি দান করেছেন এবং যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের একটু অন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে। সেজন্যই আজকের এই আয়োজন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠানই এটা। -নিউজ ডেস্ক