(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। এদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দিনভর সংঘর্ষে ১৪ পুলিশসহ অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
নিহতদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ পথচারী মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ জন পুলিশসহ ২২ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, সিলেটে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, শেরপুরে ২ জন, হবিগঞ্জে একজন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, কেরানীগঞ্জে একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন মারা গেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রাস্তায় নামে ছাত্র জনতা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও।
এদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেন। এতে বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ যুক্ত হয় আন্দোলনকারীদের দমাতে। তবে বেশির ভাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিলেও তারা কোথাও কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।
আন্দোলন চলাকালে হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক নাশকতার ঘটনাও ঘটে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ যুক্ত হয় আন্দোলনকারীদের দমাতে। তবে বেশির ভাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিলেও তারা কোথাও কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।
আন্দোলন চলাকালে হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক নাশকতার ঘটনাও ঘটে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের শুরু করা এই আন্দোলন এখন বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন। আরও ধৈর্যের পরিচয় দেবেন। তবে সন্ত্রাসীদের ছাড় দেবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন যারা নাশকতা করছে তারা কেউই ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সবাইকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে। জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের দাবির পক্ষে অনড় রয়েছে। এক দফা দাবি পূরণ না করে তারা ঘরে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই তারা আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। -নিউজ ডেস্ক