স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রাহুল ইসলাম (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাহুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা।
মৃত রাহুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে দিনাজপুর শহরের কাচারী এলাকায় পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের গ্যাস ও ছররা গুলিতে আহত হন রাহুল।
হাসপাতালে রয়েছেন নিহত রাহুলের বড় ভাই আলামিন ও তাঁর মামা। বড় ভাই আলামিন ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিল রাহুল। দুপুরের কিছু সময় পরে হাসপাতাল মোড়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। পুলিশ অবস্থান নেয় পৌরসভা রেলক্রসিং এলাকায়। সে সময় পুলিশের একটি টিয়ার শেল তার সামনে এসে পড়ে। পরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। তৎক্ষণাৎ তাকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রেফার্ড করে দেওয়া হয় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার শরীর থেকে গুলি বের করেন ওয়াশ করেন চিকিৎসকেরা। পরে রাহুলকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার বিকেলে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সন্ধ্যায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. মো. মাহাবুব মোর্শেদ তমাল দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ‘রাহুল প্রথমে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়ে তার বাসায় চলে যায়। পরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়। আমরা মেডিসিন ও নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞসহ অনেকেই তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। ব্রেইনে জটিল কোনো ভাইরাসের ইনফেকশনের কারণেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।’