(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ২০১১ সালের ৬ জুলাই হরতাল চলাকালে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। তাকে কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটায় গুরুতর আহত করেছিলেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার। সেই ঘটনা দেশ-বিদেশে তখন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৩ বছর পর হারুন ও বিপ্লবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানায় জয়নুল আবদিন ফারুক নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুপুর ২টায় মামলা করতে শেরে বাংলানগর থানায় উপস্থিত হন ফারুক। এ সময় তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন।
শেরে বাংলানগর থানা সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফারুকের দায়ের করা মামলা নম্বর ৮। ২০১১ সালে ৬ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল দেশজুড়ে হরতাল ডাকে। হরতালের দিন সকাল ৭টার দিকে ফারুকের নেতৃত্বে বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে ফারুকের সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও পরে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ লাঠিপেটা করে ফারুককে।
লাঠিপেটায় আহত ফারুককে সংসদ সদস্যরা মানিক মিয়া এভিনিউর সংসদ সদস্যদের আবাসে (ন্যাম ফ্ল্যাট) সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার বাসায় নিয়ে যান। সকাল পৌনে ১০টার দিকে সংসদের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার। পরে তাদের পদোন্নতি হয়। তাদের পদোন্নতির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই ঘটনাটিও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে। -নিউজ ডেস্ক