শুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

‘আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল হত্যার মধ্য দিয়ে’

প্রতিবেদক
admin
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ১:১৯ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সারাদেশে গত ১৭ বছর জুলুম, অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা প্রত্যেকটি জুলুম ও হত্যার বিচার চাই। আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি। তবে যারা পরিবেশ পরিস্থতির কারণে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকরি বাচানোর কারণে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলেছেন তাদের সাধারণ ক্ষমা। কিন্তু যারা ফাঁসির দড়ি নিয়ে মিছিল করেছেন তাদের ক্ষমা নেই।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল হত্যার মধ্য দিয়ে। এ আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই ছিল হত্যার ইতিহাস। ২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে ২০ থেকে ২৩ এ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিল খানায় বাংলাদেশের গর্ব, অহংকার সেনাবাহিনীর ৫৭ জন গর্বিত সন্তানকে তারা হত্যা করেছিল, যা একটি যুদ্ধেও এত সংখ্যক অফিসার শহীদ হয়নি। যা তারা এ তিন দিনে এ হত্যা করেছিল। ২০১৩ সালে তথাকতিত ওই ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদির ওই মিথ্যা মামলায় মিথ্যা রায় দিয়েছিল, সেই প্রতিবাদে যখন সারাদেশ ফুসে উঠেছিল, তখন ওই কোরআন প্রেমিক জনতার বুকে ওই খুনি হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩ শত মানুষকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, ৫ মে শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ট সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিল নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে। তখন ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার হাত হাজারও, লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত। হাজারও আলেমের রক্তে রঞ্জিত। আমার বাবার সঙ্গে একটু দেখার করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন বারান্দায় অপেক্ষা করেছি। দরজায়, দরজায় কেঁদেছি। কিন্তু ওই খুনি হাসিনার কারণে একটি বারের জন্যও আমাকে দেখা করতে দেয়নি। পৃথিবীর কোন আইনে আছে মৃত্যুপথযাত্রী বাবার সঙ্গে তার সন্তানকে দেখা করতে দেয় না, তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে এই খুনি শেখ হাসিনা। আর এই সব কারণেই তার পতন হয়েছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর কর্মী সমাবেশে ইউনিয়ন সভাপতি মো. আনিসুর রাহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে উপজেলা অর্থ সম্পাদক আবু দাউদের সঞ্চবালনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি জানান, এই পিরোজপুরের ১ আসনে আমার বাবা দুই বারের এমপি ছিলেন। তার পরে এ আসনে আরও দুজন এমপি ছিলেন। তারা কি করেছে তা আমি বলতে চাই না, আমি আল্লামা সাঈদির সন্তান। তার রক্ত আমার শরীরে। আমি আজকে আপনাদের কাছে ওয়াদা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাকে দিয়ে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দেন। আমাকে আপনাদের খাদেম বানান। তাহলে আমি আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নাজিরপুর, পিরোজপুর ও জিয়ানগরকে ঢেলে সাজাব ইনশাআল্লাহ।

এসময় বক্তব্য দেন- জেলা জামায়েত আমীর অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জাল হোসেন ফরিদি, নায়েবে আমীর, আব্দুর রব, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা জামায়াতের সদস্য ড. আব্দুল্লাহীল আল-মাহামুদ, উপজেলা আমীর আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি, কাজী মো. মোসলেউদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামীক ল’ইয়ার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, সাবেক ছাত্র নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র শিবির সভাপতি আবু হানিফ শেখ প্রমুখ। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস

আপনার জন্য নির্বাচিত