স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে সাবেক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, তার ভাই জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ আওয়ামী লীগের ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেলা শহরের পাক-পাহাড়পুর এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াদ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বিষয়টি দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট দুপুরে দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিলে আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ উসকানি, প্ররোচণায় ও নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এসময় তারা ভারী আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষতিকারক গ্যাস ও ধারালো দেশি অস্ত্র ব্যবহার করেন এবং শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।
এতে রাহুলসহ বহু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরে রাহুলকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মামলায় সুপ্রিম কোটের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জেলা যুবলীগর সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান কবীর সোহাগ, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আলম, দিনাজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক রঞ্জন বসাক, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রুহুল আমিন, শহর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম রমজান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, ৫ নম্বর শশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, ৬ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জর্জিস সোহেল, ৮ নম্বর শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক কেদ্রীয় সদস্য রাকিবুল ইসলাম মিথুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আহসানুজ্জামান চঞ্চল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি আজমান কবির আশিক, দিনাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুলফিকার আলী স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান নওশাদ, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আলম, বীরগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হোসেন বিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ রায়হান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম বসাক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, যুবলীগ নেতা সিরাজুল সালেকিন রানা, মিথুন, যুবলীগ নেতা সুইট, ছাত্রলীগ নেতা লিমন, আওয়ামী লীগ নেতা অমিত বসাক, রবীন্দ্রনাথ বসাক সুটু, ওবাইদুর রহমানসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।