(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সরকার পতনের পর থেকে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে এবং কমিশনের সদস্যরা অফিসে নিয়মিত আসছেন না। চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও কোনো নির্দেশনা পাননি।
নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিতের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা হতাশায় ভুগছেন। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এবং বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কারণে পিএসসির প্রতি আস্থা কমেছে। চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসি পুনর্গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
সূত্র জানাচ্ছে, সাবেক সরকারের সময়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ‘সোহরাব কমিশন’ যে কোনো সময় বিদায় নিতে পারে। সদস্যরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন এবং অফিসে আসার মধ্যে নিয়মিততা নেই। পিএসসির মধ্যে বিদায়ের সুর বজায় রয়েছে, তবে চেয়ারম্যান জানান, পিএসসিতে স্থবিরতার সুযোগ নেই, কারণ বিভিন্ন কাজ প্রতিদিনই চলছে।
পিএসসির অধীনে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের প্রায় ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। সিআইডি কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন এবং কমিশন পুনর্গঠনে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা সহজ উপায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে প্রকাশ হতে পারে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, সঠিক নির্দেশনা পেলে তারা সময়মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হচ্ছে। এই অবস্থায় পিএসসির জন্য নতুন নির্দেশনা আসতে পারে, যা নিয়োগ পরীক্ষার কাজে গতি আনতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ৪৬তম বিসিএসসহ কয়েকটি পরীক্ষার তথ্য জানতে চেয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন নির্দেশনা এলে পিএসসির কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করবে। -নিউজ ডেস্ক