(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) কম) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা সদরে ৮ বছর ধরে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় জোর পূর্বক দখল করে রাখা দু’টি দোকান ঘর অবশেষে দখলকারী ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর’২৪) দোকানের প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরে দিয়েছে।
জানা গেছে, শহরের পুরাতন বাজারে (মুরগীহাটি রোড) উপজেলার টেগরা তকিপুর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি ইমদাদুল ইসলামের পৈত্রিক জমি রয়েছে। সেই জমির কিছু অংশে দু’টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ইমদাদুল ইসলাম জনৈক আব্দুর রাজ্জাককে ভাড়া প্রদান করেন। প্রথম দিকে ভাড়াটিয়া ঠিক মতো ভাড়া প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে নাবালক উত্তরাধিকার রেখে ইমদাদুল ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন। জমি মালিকের সাবালক কোন উত্তরাধিকার না থাকার সুযোগে ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাক ২০১৬ সাল থেকে দোকানের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। এছাড়া তিনি খসড়া কিছু কাগজপত্র তৈরি করে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় নিজেকে দোকান ঘরের মালিক বলে দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রকৃত মালিক ইমদাদুল ইসলামের বর্তমানে সাবালক ছেলে ইবনুল বাসার জানান, দোকান ঘর ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন জনের নিকট আকুতি জানিয়েছেন এবং এব্যাপারে সহায়তা করার জন্য তার স্বজন ফারুক-ই-আজমকে দায়িত্ব অর্পন করেন। ইবনুল বাসারের পক্ষে ফারুক-ই-আজম ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিরামপুর পৌরসভায় আবেদন করেন। নোটিশের প্রেক্ষিতে আব্দুর রাজ্জাক পৌর সভায় কিছু কাগজপত্র দাখিল করেন। কাগজপত্র যাচাই করে ঐসকল কাগজপত্র “জাল ও ভুয়া” বলে আখ্যায়িত করে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রকৃত মালিকের নিকট দোকান ঘর ফিরে দেওয়ার জন্য আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেন। এতেও আব্দুর রাজ্জাক দোকান ঘর ফিরে না দেওয়ায় মালিক পক্ষ সম্প্রতি বিরামপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। সেখানে কয়েক দফা ডাকা সত্বেও ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত হন নাই। এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আব্দুর রাজ্জাক দলীয় প্রভাব ও ছত্রছায়া হারাতে থাকেন।
দলীয় ছত্রছায়া হারিয়ে নিজের অবস্থা বে-গতিক দেখে দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১০ অক্টোবর’২০২৪ সকালে আব্দুর রাজ্জাক নিজেই দোকানের মালপত্র বের করে নিয়ে যেতে থাকেন। এসময় মালিকপক্ষের লোকজন সেখানে গেলে মহল্লাবাসীর উপস্থিতিতে আব্দুর রাজ্জাক তাদের নিকট স্বেচ্ছায় নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লেখাপড়ার মাধ্যমে দোকান ঘরের মালিকানা প্রকৃত মালিক পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন।
দোকান ঘর বুঝে পেয়ে মালিক পক্ষের স্বজন ফারুক-ই-আজম বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও সমঝোতার মাধ্যমে দোকান ঘর বুঝে পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। এব্যাপারে মালিক পক্ষ পৌর সভার রায় প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, উপস্থিত মহল্লাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।