মোস্তাফিজার রহমান (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে রহিমের অর্থের অভাবে মিলছে না চিকিৎসা বিভিন্ন দুর্নীতিতে চলছে হাসপাতাল।দিনাজপুরে সুনাম ধন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুনামে না বাসলে ও সুনামে ভাসতেছে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিচে না ঘাড়ে দোষ একজনের অনিয়মের অভিযোগ আর একজনকে ঘাড়ে চাপিয়ে এড়িয়ে চলছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এভাবেই চলছে সিন্ডিগেটের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে রমরমাট ব্যবসা। দুর্নীতির কথা ভাসলেও আমলে নিচ্ছে না মেডিকেল কর্তৃপক্ষরা,এর উৎস কোথায় চিকিৎসা খাদে নানান অনিয়মে দিনাজপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টাকা ছাড়া হচ্ছে না অপারেশন খোলা হচ্ছে না,পা এবং হাতের রড, এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলেই দেয়া হচ্ছে হুমকি,আতঙ্কে রোগীর পরিবার ও রোগী,সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন অনিয়ম দুর্নীতি আর সিন্টিগেটের মাধ্যমে চলছে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দিনাজপুর বিরল উপজেলার মতাপুকুর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে আব্দুর রহিম (১৯) এর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,হাত পায়ের স্থাপিত রড বের করার জন্য গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং অর্থ সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ১৪ই অক্টোবর অপারেশন করার কথা বলেন। অস্ত্রোপ্রচারের জন্য ২ হাজার টাকা খরচ লাগবে বলে ওটি থেকে জানানো হলে সে টাকা দিতে না পারায় অপারেশন স্থগিত হয়ে যায়। অর্থোব্রেডিক অপারেশন থিয়েটারে চলছে রড লাগা এবং খোলার রমরমাট ব্যবসা শুধু তাই নয় অন্যের ব্যবহৃত রড নতুন করে হাত-পা ভাঙ্গা রোগীদের লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
নবাবগঞ্জ থানার বাসিন্দা বায়ডেন মার্টিন এর কাছ থেকে রড লাগানোর বাবদ ২৫ শ' টাকা নেয় অপারেশন অর্থপ্রেডিকস এর কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয় মেডিকেলে ভর্তি হওয়া রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে বাইরে ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য টলিতে করে যাওয়া রোগী রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায়। রহিমের হাত ও পা থেকে রড বের করার জন্য পুনরায় ২৩ অক্টোবর সময় নির্ধারণ করা হয়।এই সুবাদে ২২অক্টোবর রাতে সার্জিক্যাল প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধিসহ কয়েকজন এসে রহিমের কাছে পুনরায় ২ হাজার টাকা চায়।কিন্তু রহিমের পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও অস্ত্রোপ্রচার বন্ধ হয়ে যায়।রহিম দীর্ঘদিন হাসপাতালে অবস্থান করলেও শুধু টাকার অভাবে শরীরে থাকা রড বের করতে পারছে না বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামন করেন।এ বিষয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম নুরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং আগামী রোববার ডাক্তারদের সাথে বসে আপনাদের জানানো হবে বলেও জানান তিনি।