(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বিগত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অর্থনৈতিক সেক্টরে যে লুটপাট চালিয়েছিল এর একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেছে ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’।
রোববার (১ ডিসেম্বর) কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র তুলে দেন।
প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়, বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহার, আর্থিক তথ্যে গরমিল, ব্যাংক খাতের লুটপাট, জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও রাজস্ব আহরণে পদক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও সংকট থেকে উত্তরণের পদক্ষেপও সুপারিশ করেছে কমিটি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে কমিটি গঠন করে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বাকি ১১ সদস্য হলেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ম. তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরুর) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী।
২৮ আগস্ট কমিটি হওয়ার পরপরই কাজে নেমে পড়ে কমিটি। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করা ছাড়াও অংশীজনদের মতামত নেয় তারা। কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। -নিউজ ডেস্ক