(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ওই বক্তব্য সরানোর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। এই আদেশ ইতিমধ্যে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে বিদ্বেষমূলক উপাদান রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে, ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক শুনানির পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি, বিটিআরসিকে ওই বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ দেশের পাশাপাশি ফেসবুক, এক্স (প্রাক্তন টুইটার) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান করছেন। ভারতে থেকে তিনি নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন এবং এসব বক্তব্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি, তিনি ভারতে বসে যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন, যা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রসিকিউশন পক্ষের দাবি, শেখ হাসিনা যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছেন, তা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে, এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর আগে, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল, যা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। -নিউজ ডেস্ক