(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে যোবায়ের ও সাদপন্থীরা। দুই পক্ষে তুমুল সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা বৃদ্ধ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাত তিনটার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া এবং ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় মাঠের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার বলেন, ইজতেমায় মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন অন্যজন। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে জানিয়ে ওসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।