মোস্তাফিজার রহমান (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার রাজিউরের বিরুদ্ধে। লোক চক্ষুর অন্তরালে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গোডাউনে রক্ষিত মালামাল বিক্রি করে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ রাজিউর রহমান। তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ রাজিউর রহমান পল্লী উন্নয়ন অফিসার হিসেবে দিনাজপুর সদর উপজেলার যোগদান করে যেনো আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে ছিলো তাইতো প্রথম ২০১১সালের ১৮সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২সালের ১০জুলাই পর্যন্ত চাকুরি করার সুবাধে দিনাজপুরের স্বাধ ভুলতে পারেনি।পুনরায় বিগত সরকারের আমলে অনেক চেষ্টা তদবির করে পুনরায় ২০২২সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়ে যোগদান করে মেতে উঠে অর্থ উপার্জনের মহোৎসবে।তিনি অর্থ উপার্জনের অসৎ পন্থাই শুধু অবলম্বন করেননি করতেন অফিস স্টাফদের সাথে দুর্ব্যবহার। তার স্টাফদের সাথে অসোচারনের কারনে অভিযোগও হয়েছিল।এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঘটনাটি নিষ্পত্তিও হয়ে যায় ।এছাড়াও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (ইউসিসিএ)এর সভাপতি মোঃ আজিজুল হক উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ রাজিউর রহমানের অসাদাচরন ও দুর্নীতির বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযো করলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে মন্থর হয়ে রয়েছে তদন্ত কার্যক্রম । উপজেলা সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আজিজুল হকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসারের সীমাহীন দুর্নীতি ইউসিসিএ লিঃ এর প্রতি অবজ্ঞা ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহারের কারনে অত্র ইউসিসিএ লিঃ এখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে।উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া ইউসিসিএ লিঃ কে কোন ভাবেই বাঁচানো সম্ভব না। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ রাজিউর রহমান এর দুর্নীতির অভিযোগের একাংশঃ বৈধ/অবৈধ চেক সাক্ষরের ক্ষেত্রে বা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিভিন্ন অযৌক্তিক অথবা অবৈধ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা কিংবা প্রশ্ন করলে খারাপ আচরন।যা ইতিপূর্বে ইউএনও ও উপপরিচালকে অবগত করা হয়েছিল।এর অস্থাবর সম্পত্তি যা ছিল সবকিছু ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই অগোচরে বিক্রি করে দিয়েছেন যার আনুমানিক মুল্য ২লক্ষ টাকা থেকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা।যেমন শ্যালো টিউবওয়েল ২টি,রিক্সা ৩টি,সাইকেল ২টি,স্টিলের আলমারি ৫টি ,স্টিলের ফাইল কেবিনেট ৮টি,মোটর সাইকেল ১টি,লোহা মাপার স্কেল ২,কাঠের প্রেম ৪৫টি,টেবিল ২৫টি।ইউসিসিএ লিঃ এর গোডাউন ভাড়া দিয়েছেন মাসিক ৩হাজার টাকার ভিত্তিতে গত এক বছরের টাকা ইউসিসিএ লিঃ এর একাউন্টে জমা না করে নিজে আত্মসাত করে। ইউসিসি লিঃ খেলাপি ঋণ উত্তোলনে কোন পদক্ষেপ নেই। ইউসিসিএ লিঃ এর বেতন উত্তোলন করতে গেলে শতকরা ৫০ভাগ উৎকোচ দিতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অগাধ চিত্র রয়েছে যা প্রকৃত তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।এমনটি প্রত্যাশা সকলের।। সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ রাজিউর রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফয়সাল রায়হান বলেন অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছি।সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ রাজিউর রহমান এর সাথে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্টাফদের একটা ভুলবোঝাবুঝির কথা অকপটে স্বীকার করলেও এরিয়েল যান গোডাউনের মালামাল বিক্রি ও গোডাউন ভাড়ার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি এবং দাম্ভিকতার সাথে সাংবাদিক প্রতিনিধিকে বলেন আপনাদের যা ইচ্ছে করেন।তবে তার কাছে গোডাউনের মালামাল দেখতে চাইলে তিনি তা না দেখিয়ে গোডাউনের দায়িত্বে নিয়োজিত স্টাফ ছুটিতে রয়েছে বলে পাশ কাটিয়ে যায়।