(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) হত্যা, গুম ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঠেকাতে সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও আগের তিন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে কমিশন গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা খুন করেছে, মানুষদের গুম করেছে তারা আবার রাষ্ট্র পরিচালনা করুক সেটা অধিকাংশ জনগণই চায় না। সেজন্য তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান আরও বলেন, ‘গত ৩ নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।’
নির্বাচনি অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান বদিউল আলম মজুমদার।
গত ৩ অক্টোবর ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৮ সদস্যের ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুই দফায় এই কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. জাহেদ-উর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। -নিউজ ডেস্ক