(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে কান্নার রোল পড়েছে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। পাপমুক্তি ও ক্ষমা চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে হাত তোলা লাখ লাখ মানুষের কান্নায় ভারী হয়ে এসেছে ওই এলাকার আকাশ বাতাস।
মোনাজাত শুরুর পরই আল্লাহর কাছে ক্ষমা, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ইহকালে হেদায়েত ও শান্তি প্রার্থনা, রহমত, মাগফেরাত, নাজাত কামনায় একসঙ্গে হাত তোলেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। তাদের গগনবিদারী কান্নায় প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে তুরাগ তীর। গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধির আশায় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে কান্নার রোল পড়ে গেছে তুরাগ তীরে। অশেষ মহিমায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন মুসল্লিরা। অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণে ব্যাকুল হয়েছেন তারা। ধনী-গরিব, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশা-গোষ্ঠীর মানুষ আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া নয়টার কিছু আগে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করছেন তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা যুবায়ের আহমেদ।
এর আগে ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা আবদুর রহমানের হেদায়েতি বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দিন বা শেষ দিনের ইজতেমা। এরপর নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এরপর শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত শুরুর পরই টঙ্গী এলাকাজুড়ে নেমে আনে পিনপতন নীরবতা। হাত তোলার পরই মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই বহু মানুষ ইজতেমা ময়দানে আসেন। ফজরের নামাজের আগেই ইজতেমার মূল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শনিবার যারা আসেননি তারা রোববার ভোর থেকেই ইজতেমার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে টঙ্গী এলাকায় অন্যরকম এক ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে তাবলিগের দুই পক্ষ মাওলানা যুবায়ের ও সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা দুই পর্বে আলাদাভাবে ইজতেমা করতেন। তবে এবারই প্রথম মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা দুই ধাপে ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে আজ রোববার আখেরি মোনাজাতে শেষ হচ্ছে প্রথম ধাপ। এ ধাপে অংশ নিয়েছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। আর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা রয়েছে। -অনলাইন ডেস্ক