(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রাজধানীর উত্তরায় হামলার শিকার মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি স্বামী-স্ত্রী নন। তারা দুজন সহকর্মী। এমনটি জানিয়েছেন মেহবুল হাসানের স্ত্রী দাবি করা শম্পা বেগম।
আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে এসব জানান শম্পা বেগম। তার দাবি, ২০১৬ সালে মেহবুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। তাদের বয়স চার ও পাঁচ বছর।
শম্পা বেগম বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার হাসবেন্ডের বিয়ে হয়নি। আমার শাশুড়ি একটু আগে ফোন করে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে বলছে, “আমার হাসবেন্ড আমার চেহারা দেখতে চান না। উনি সুস্থ হলে আমাকে দেখে নেবেন।” এ কথাগুলো বলছে।’
এই নারী আরও বলেন, ‘আমার শাশুড়ি বারবার বলছে, আমি কেন আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কোঅপারেট করছি। আমি যে তার স্ত্রী, এটা আপনাদের সঙ্গে রিভিল (উন্মোচন) করেছি, এটা আমার অপরাধ হয়েছে।’
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কর্মরত মেহবুল ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন। তার স্ত্রী দাবি করা শম্পা বেগম বলেন, “১৭ তারিখের আগেও উনি বাসায় আসতেন। কিন্তু উনি মাঝে মাঝে থাকেন না। আমি জানতে চাইলে উনি বলেন, ‘কাজে আছি’।”
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনা যখন ঘটল, তখন আমি হতভম্ভ হয়ে গেছি। বাংলাদেশের সকল মানুষ ওই মহিলাকে বাহবা দিচ্ছে। কিন্তু আমি হাইড হয়ে যাচ্ছি, বাচ্চারা হাইড হয়ে যাচ্ছে। সন্তানের বয়স ৪ ও ৫ বছর। এই সন্তানদের নিয়ে আমি কোথায় যাব?’
মেহবুলের সঙ্গে এখনো সংসার করতে চান কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শম্পা বলেন, ‘অবশ্যই। কোনো মেয়ে চায় না যে তার সংসার ভেঙে যাক। আমি এখনো যাচ্ছি না যে, সে আমাকে ছেড়ে চলে যাক। আমি এখনো চাই, তিনি আমার সাথে, আমার সন্তানদের সাথে সুখে সংসার করুক।’
কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘আমার সংসারটা ভালোই কাটছিল, কিছু দিন হলো সংসার এলোমেলো হয়ে গেছে।’
সংসারের সমস্যার বিষয়ে শম্পা বলেন, ‘যখন তৃতীয় পক্ষ যুক্ত হবে, তখন স্বাভাবিক মনের পরিবর্তন আসবে।’ -নিউজ ডেস্ক