(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় দেড় মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নেই,এতে উপজেলা প্রশাসনের কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও মো. রমিজ আলমকে রংপুরে জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা হলে গত ২১ জানুয়ারি তিনি সেখানে যোগদান করেন। আর পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসানকে পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হতে চললেও তিনি পীরগঞ্জে যোগদান করেননি। পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার এন এম ইসফাকুল কবীর অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ইউএনওর দায়িত্ব পালন করছেন। ইউএনও ’র অবর্তমানে তাকে পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে পালন করতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায় দুইশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বও চেপে বসেছে সহকারী কমিশনারের ওপর। একজন কর্মকর্তার পক্ষে ভুমি দপ্তর, ইইএনওর দপাÍর, উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তর, পৌরসভার দপ্তর সহ উপজেলার সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন দপ্তরের ফাইল স্বাক্ষর করতে যেমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সহকারী কমিশনারকে, তেমনি স্বাক্ষরের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষকে ঘুরতে হচ্ছে সহকারী কমিশনারের কাছে। এতে সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে সেবা প্রত্যার্শীদের। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মখলেসরি রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে এসিল্যান্ডকে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সব কাগজে স্বাক্ষর দিতে চান না এসিল্যান্ড। এতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে।’
পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি তোজামুল জানান, তাদের ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। এসিল্যান্ড প্রথমে কোনো চেকে স্বাক্ষর দিতে চাননি। এখন জরুরী দু/একটা করছেন। স্বাক্ষরের অভাবে অনেক কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দপ্তর পরিচালনায় নানা সমস্যা হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভুমি) এন এম ইসফাকুল কবীর বলেন, ‘কাজের চরম চাপ। তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। এখানে একজন ইউএনও ’র জরুরী প্রয়োজন।’জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি পীরগঞ্জে দ্রুত ইউএনও দেওয়া হবে।’