মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে এ প্রসঙ্গে ফেরোলির বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘শুল্কের চাপে আমাদের জিডিপি সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গত বছর আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি বছরে আমরা ০ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি আশা করছি না, যা আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।’

বুধবার (২ এপ্রিল) বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ৯ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করা হবে। তবে কোনো দেশ যদি এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়, সে পথও খোলা আছে।

ট্রাম্পের এই শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার পরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশটির শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। ২০২০ সালের মার্চের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল গড়ে ২ হাজার ২৩১ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পতন দেখেছে। দ্য এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে ৬ শতাংশ কমেছে এবং নাসডাক সূচক একই দিনে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।

শুল্ক আরোপের ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির পরিমাণ অনেক কম হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞেরা। তাদের পূর্বাভাস, অন্তত ২০ শতাংশ আমদানি কমতে পারে। সার্বিকভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।

এছাড়া ট্রাম্পের নীতির ফলে অন্যান্য দেশ যদি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, সেক্ষেত্রে রফতানির সমস্যায় পড়বে দেশটি। ইতোমধ্যে মার্কিন পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে দিয়েছে চীন। অন্যান্য দেশও একই পথ অনুসরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেউ কেউ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আবার কিছু দেশ আলোচনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। -ডেস্ক রিপোর্ট