(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) গ্রীষ্মকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে বিভিন্ন সবজির দাম। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে মুরগির বাজারের ঊর্ধ্বগতি। যা ভোক্তাদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর উত্তরার আজমপুর এবং খিলক্ষেত কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৭০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা এবং টমেটো ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০-৬৫ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা এবং সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি চালকুমড়া ৪০ টাকা এবং লাউ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার এবং সবজির মান-আকারভেদে দাম কমবেশি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। তাছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহও প্রায় শেষের দিকে।
খিলক্ষেত নামা পাড়া এলাকার সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, এই সময়ে সব ধরনের সবজির দামই একটু বেড়ে যায়। ভালো পছন্দের সবজি নিতে হলে ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেশি। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়ে ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম জাতভেদে প্রতি পিস ৬০০-৭০০ টাকা।
তবে, গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, আদা ১২০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ১৮০-২২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার এখনো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০-৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দামের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা গরমের সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়াচ্ছেন। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের পকেটে।
রেজাউল করিম নামের এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাই।-ডেস্ক রিপোর্ট