(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চালানো গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
তাদের অনুসন্ধানে শনাক্ত হয়েছে, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে ‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়েছে, যা পাঠককে ভুল বার্তা দিতে পারে।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, সোমবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘অভিযোগ হিসেবে ‘গণহত্যা’ আছে কিনা?’
এর জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচলিত ভাষায় যদি একসঙ্গে বেশি মানুষ মারা যায়, তাহলে আমরা বলি গণহত্যা হয়েছে। একসঙ্গে অনেক মানুষ মারা গেছে- এটাকে মাস কিলিং অথবা ম্যাসাকার বলতে পারেন, কিন্তু আইনের যেটা জেনোসাইড- সেইটা কিন্তু এটা না।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘ধরেন, একশ জন লোককে মেরে ফেলা হলো। এটা বাংলাদেশের... আমরা বাংলা ভাষায় বলি গণহত্যা করেছে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল আইনের জেনোসাইড এটা নয়। সুতরাং আমরা যদি আমাদের স্বাভাবিক পরিভাষায় গণহত্যা বলিও, সেটা বলতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু আইনে অপরাধ হিসেবে জেনোসাইড যে জিনিসটা সংজ্ঞায়িত আছে, সেটা হওয়ার জন্য সার্টেন ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হয়।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘বাংলাদেশে মাসকিলিং হয়েছে, ব্যাপক ভিত্তিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, দেড় হাজারের উপরে মানুষকে মারা হয়েছে, এইটা ম্যাসাকার, এটা ব্যাপক হারে হত্যা, মার্ডার। কিন্তু ইট ইজ নট জেনোসাইড। এটা হচ্ছে প্রস্তাব। আইনের জেনোসাইড এবং মাসকিলিং এক জিনিস নয়।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
সম্প্রতি ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গুজব এবং ভুয়া খবর প্রচার শনাক্ত করা হচ্ছে। -নিউজ ডেস্ক