(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় বৃহস্পতিবার ২২ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টু তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আগামী ১ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি তারিখ ধার্য করেছে।
মামলার নথি পর্যালোচনা জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ অভিনেত্রী ও গায়িকা শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ৫০ হাজার টাকা উসুল দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয় আসামি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। তবে আসামি তার পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বাদীকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে এ বিয়ে করেন।
বাদী পরবর্তীতে জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। যা তিনি গোপন করেন। তার পূর্বের ১টি পুত্র ও ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে সে তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তার সকল প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।
মামলার নথিতে বাদী আরও উল্লেখ করেছেন, পরবর্তীতে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ আসামি মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।
তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এসময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।
পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর গত বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহজালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম ও মোখলেছুর রহমান মিল্টন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। -ডেস্ক রিপোর্ট