বিএসইজেডের জমি লিজ চুক্তির জন্য অনোডা ইনক এবং বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের মধ্যে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারক।

ওএনওডা জিকা দ্বারা আরম্ভ করা একটি গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং বিএসইজেডের কারখানায় গ্যাস মিটারের নতুন সমাবেশ উৎপাদন, পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে।

বাংলাদেশ নক্সিস কোং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডকে বিএসইজেড এর জমি লিজ চুক্তির জন্য তৃতীয় সমঝোতা স্মারক।

বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেড (বিএসইজেড) এবং বাংলাদেশ নক্সিস কো. লিমিটেড (নক্সিস) একটি ল্যান্ড সাবলিজ চুক্তি স্বাক্ষর করবে। নক্সিস বিএসইজেডের কারখানায় পোশাকের আনুষঙ্গিক উপকরণ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

চতুর্থ সমঝোতা স্মারক গ্লেগিট ও মুসাসি সিমিতসু ইন্ডাস্ট্রি গ্লেফিট এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটারি-চলন সাইকেল এবং একটি বৈদ্যুতিক মোটর সাইকেল তৈরির কারখানা স্থাপন করার জন্য।

পঞ্চম সমঝোতা স্মারক সিফার কোর কো. লিমিটেড জড়িত, যা পুরস্কার বিজয়ী আবিষ্কারক টাকাতোশি নাকামুড়ার দ্বারা সম্পূর্ণ সিফার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তথ্য নিরাপত্তার জন্য একটি জাতীয় পাইলট প্রকল্প চালু করতে তার বাংলাদেশ উদ্যোগে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।

এই প্রকল্পটির লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি কোয়ান্টাম-প্রচলিত ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে পরিণত করা, যার মাধ্যমে স্থানীয় সত্তাকে প্রযুক্তি স্থাপন এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে।

ষষ্ঠ সমঝোতা স্মারক জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি এবং বিআইডিএ জড়িত।

এই এমওইউ ইনটিগ্রেটেড একক উইন্ডো প্ল্যাটফর্ম (আইএসডব্লিউপি) এর প্রাথমিক পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত এবং অন্তর্-ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য জিকা'র সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছে।

এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা দ্বারা বর্তমানে পরিচালিত স্বতন্ত্র ওয়ান-স্টপ পরিষেবাগুলিকে একীভূত করার জন্য বিআইডিএ নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট সকল দলকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘এখন বাস্তবায়ন করা আমাদের কাজ।’

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে দেশে ক্রমাগত ভূমিকম্প হয়েছে, যার ফলে কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। ‘এই অবস্থায় একজন ভালো বন্ধু এসেছিল... আর সেই বন্ধু হলো জাপান। আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপটি ডিজাইন করতে এখানে এসেছি, তিনি বলেন।

চ্যালেঞ্জকে ঐতিহাসিক বলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে, এটা করা হয়েছে, নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। আমরা আমাদের বেল্ট এক ধরনের শক্ত করেছি এবং বলছি যে এখানে আমরা কাজ করতে হবে। আপনাদের সহায়তায় এটা সম্ভব।’

‘আসুন আমাদের হাত একসাথে রাখি এবং এটি কার্যকর করি... এটা অর্থ উপার্জন সম্পর্কে নয়। এটা মানুষের জীবন পরিবর্তন সম্পর্কে,’ তিনি বলেন।

অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প (এমইটিআই) সংসদের উপ-মন্ত্রী শিনজি টেকুচি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত জাপানি কোম্পানির সংখ্যা এখন ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা ১০ বছর আগের চেয়ে তিন-চতুর্থ বেশি।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও সিইও নরিহিকো ইশিগুরো স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়া জাপান বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (জেবিসিসিইসি) এর চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের সদস্য, নির্বাহী করপোরেট উপদেষ্টা, মারুবেনি করপোরেশনের পরিচালক বক্তব্য দেন। -ডেস্ক রিপোর্ট