মোবায়েদুর রহমান (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) অকস্মাৎ ইরানে হামলার কারণে ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ যেমন শুরু হয়েছিল, তেমনি আকস্মিকভাবেই সেই যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যুদ্ধশেষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে হিসাব-নিকাশ চলছে, এ যুদ্ধে কার লাভ, আর কার ক্ষতি হলো। যুদ্ধ তো শেষ হলো, কিন্তু তারপর কী? এ ধরনের নানা হিসাব-নিকাশ। এর মধ্যে একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা, এই যুদ্ধে তো ইরানের কোনো বিমানকে উড়তে দেখলাম না। ইরানের কি কোনো যুদ্ধবিমান নাই?’ যিনি প্রশ্ন করেছেন, তার প্রশ্নটি সহজ এবং সরল। এর মধ্যে বোকামির কিছু নেই। কারণ ১০ দিনের এ যুদ্ধে ইরানের কোনো বিমান আকাশে ওড়েনি। কিন্তু ইসরাইলের দেখা গেছে, প্রথম এবং দ্বিতীয় দিন যথাক্রমে ২০০ এবং ১০০টি বিমান এ হামলায় অংশ নিয়েছে। এখন ওপরে উল্লিখিত জল্পনা-কল্পনা এবং ওই প্রশ্নটির জবাব দেব।
প্রথমে খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ যুদ্ধে লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ করতে যাওয়ার কোনোই অবকাশ নেই। কারণ যুদ্ধটি যদি ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে হতো, তাহলে লাভ-ক্ষতি বা জয়-পরাজয়ের প্রশ্ন উঠত। কিন্তু এ যুদ্ধে জড়িত ছিল আমেরিকা। প্রথম দিন থেকে এবং শেষ অবধি পর্যন্ত। প্রথম থেকে আমেরিকা এ যুদ্ধের পেছনে ছিল। ইসরাইলকে সামনে ঠেলে দিয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করেছিল। যখন দেখল, ইসরাইল তার অত্যাধুনিক ওয়্যার মেশিন নিয়েও যুদ্ধে ইরানের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না, তখন আমেরিকা ইসরাইলের ওই মুখোশ ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজেই যুদ্ধে নেমে পড়ে। তাদের দুর্ধর্ষ এবং ভয়াবহ বোমারু বিমান বি-২ ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় ২০/২১টি মারাত্মক বোমা ফেলে। এর মধ্যে রয়েছে ফোর্দে ভয়ংকর বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। আমেরিকা ধারণা করেছিল, ইরানের পারমাণবিক বোমা অথবা বোমা তৈরির উপকরণ ওই ফোর্দের পাহাড়ের নিচে পাথরের গর্তের মধ্যে লুকানো আছে। বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা মাটির ৩২ ফিট নিচে পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে বোমা ফেলে ইরানের পারমাণবিক বোমা ধ্বংস করা গেছে কিনা অথবা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সমূলে ধ্বংস করা গেছে কিনা, সেটি পরিষ্কার নয়। যদিও বোমা মারার ২ ঘণ্টা পর টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইরানের সব পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে (Obliterated)। কিন্তু বাস্তবে সেখান থেকে রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পক্ষান্তরে, অন্য সূত্র থেকে বলা হয়েছে, ইরান অনেক আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিল, আমেরিকা তার পারমাণবিক স্থাপনাতে বোমা মারবেই। তাই তারা আগে ভাগেই পারমাণবিক বোমা (যদি বানিয়ে থাকে) অথবা তার উপকরণ সরিয়ে ফেলেছে।
ইরানে বিমান আক্রমণ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোটা বিশ্বের সঙ্গে মোনাফেকি করেছেন। তিনি ১৫ দিনের সময় নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন, আমেরিকা সরাসরি ইরান আক্রমণ করবে কিনা। কিন্তু ১৫ দিন দূরের কথা, ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি সেই ভয়াবহ বিমান আক্রমণটি করলেন। তবে কথায় বলে, সেরের ওপরে আছে সোয়া সের। ইরান তার মতলব বুঝে ফেলেছিল বলে ১৩ জুন ইসরাইলের আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই তারা পারমাণবিক সাজ-সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলেছিল। প্রশ্ন হলো, আমেরিকা তো আক্রমণ করতই। কিন্তু ১৫ দিনের পরিবর্তে ২ দিনের মাথাতেই এমন প্রচণ্ড হামলা করল কেন? এর উত্তর ডিফেন্স অ্যানালিস্টদের কাছে সহজ।
২.
বিষয়টি আপাতদৃষ্টে দুর্বোধ্য হলেও, যাদের এ সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান আছে, তাদের কাছে বিষয়টি পানির মতো সোজা। সেটা বুঝতে হলে ইরান ও ইসরাইলের সামরিক শক্তি সম্পর্কে একটি ধারণা নিতে হবে। ইরানে নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ৮০ হাজার। এছাড়া সাড়ে তিন লাখের মতো রিজার্ভ সৈন্য আছে। ইসরাইলের নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার এবং ৪ লাখ ৬৫ হাজার রিজার্ভ সেনা রয়েছে। ইরানের প্রায় ১৯৯৬টি ট্যাংক এবং ৬৫ হাজার ৭৬৫টি সাঁজোয়া যান রয়েছে। ইসরাইলের ১৩৭০টি ট্যাংক এবং ৪৩ হাজার ৪০৩টি সাঁজোয়া যান আছে।
ইসরাইলের কাছে মোট সামরিক বিমান রয়েছে প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি, যার মধ্যে ২৪১টি যুদ্ধবিমান। তাদের অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৪৮টি। ইরানের হাতে মোট সামরিক বিমান রয়েছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫৫০টি, যার মধ্যে ১৮৬টি যুদ্ধবিমান। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি। ইরানের রয়েছে ১৯টি সাবমেরিন। ইসরাইলের ৫টি।
গত ২০/২৫ বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব লাগাতার অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এ অজুহাতে যে, ইরান নাকি পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে। এ পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত রাখার জন্যই আমেরিকা সেদিন ইরানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। অথচ যাদের পক্ষ হয়ে আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে নামল, সেই ইসরাইলের হাতে ৯০ থেকে ১০০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের নজির এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে!
ইসরাইলের জঙ্গিবিমানের শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের কাছে আমেরিকার সর্বাধুনিক জঙ্গিবিমান রয়েছে। তারা আমেরিকার কাছে ৭৫টি সর্বাধুনিক এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের অর্ডার দিয়েছে। তার মধ্যে ইতোমধ্যেই তারা পেয়ে গেছে ৩৯টি এফ-৩৫। তাদের কাছে আরও রয়েছে এফ-১৫, এফ-১৬ জঙ্গিবিমান। যেগুলোর সংখ্যা অন্তত ১০০। এর বিপরীতে ইরানের জঙ্গিবিমানগুলো অত্যন্ত সেকেলে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ-১৪ টমক্যাট, এফ-৪ ফ্যান্টম, এফ-৫ টাইগার, রুশ মিগ-২৯, রুশ এসইউ-২৪, রুশ এসইউ-২২, চীনা চেংডু এফ-৭ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন রুশ মিগ-২১ জঙ্গিবিমানের চীনা ভার্সন)। আমার মনে আছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার আকাশে যখন ভারতীয় মিগ-২১ জঙ্গিবিমান হামলা করছে, তখন তাকে তাড়া করেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন স্যাবর এফ-৮৬। এ তাড়া দেখে রসিকজন মন্তব্য করছিলেন, একটি বেবিট্যাক্সি (এফ-৮৬) তাড়া করছে একটি মোটর গাড়িকে (মিগ-২১)। ইসরাইলের বিমানবাহিনীর কাছে ইরানি বিমানবাহিনী ওই অনেকটা বেবিট্যাক্সি এবং মোটর গাড়ির সমান।
৩.
তারপরও যতটুকু আছে, ততটুকু দিয়েও ইরানি বিমান আকাশে উড়ল না কেন? এটা জানার জন্য ইসরাইলের সীমান্ত সম্পর্কে জানতে হবে। দেশটির বাম দিকে রয়েছে মিসর এবং জর্ডান। উত্তরে লেবানন, পূর্বে সিরিয়া। এছাড়া রয়েছে গাজা উপত্যকা এবং ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীর। এখানে উল্লেখ করার বিষয়, ইসরাইলে যদি ইরানের বিমানকে আক্রমণ করতে হয়, তাহলে তাকে ইরাক, সিরিয়া অথবা ইরাক ও জর্ডানের আকাশ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সৌদি আরব, ওমান, বাহরাইন, কাতার, ইরাক, জর্ডান, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে রয়েছে ১৯টি মার্কিন ঘাঁটি। কিন্তু ইসরাইলের সীমান্তসংলগ্ন ৩টি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অবশিষ্ট ৪টি দেশের আকাশসীমা দিয়ে ইরানের বিমানকে উড়তে দেওয়া হয় না। ইরান থেকে আকাশ দিয়ে ইসরাইলে হামলা করতে হলে ইরানকে কমপক্ষে ৯২০ মাইল আকাশপথ পাড়ি দিতে হবে। এটি করতে গেলেই ওইসব মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানি জঙ্গিবিমানকে ভূপাতিত করা হবে। কিন্তু ইসরাইল যখন ইরান আক্রমণ করে, তখন তার বিমানগুলো মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশের ওপর দিয়ে উড়ে আসে এবং এ সুযোগটা গ্রহণ করেই ইসরাইলের ১০০ থেকে ২০০ আধুনিক জঙ্গিবিমান ইরানে হামলা করেছে।
৪.
ইসরাইলের ওপর বোমা ফেলতে হলে যেহেতু ইরানের পক্ষে আকাশপথ ব্যবহার করা সম্ভব নয়, তাই আক্রমণের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয়েছে সম্পূর্ণভাবে ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইলের ওপর। যেখানে আমেরিকা হামলা করেছে বি-২ স্পিরিট বোম্বার দিয়ে, সেখানে মার্কিনিরা ব্যবহার করেছে ৭৫টি নির্ভুল গাইডেড অস্ত্র। যার মধ্যে ছিল ১৪টি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এ পেনিট্রেটরগুলোই বাঙ্কার ব্লাস্টার নামে পরিচিত। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান শুরুর দিকে ব্যবহার করেছে শাহাব-১ ও শাহাব-২ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো পুরোনো স্কাড মিসাইলের অনুকরণ। কিন্তু ইসরাইলের হামলা ব্যাপক হলে ইরান ব্যবহার করে শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলোর রেঞ্জ ১৫০০ কিলোমিটার। এসব মিসাইল পারমাণবিক ওয়ারহেডও বহন করতে পারে। এরপর তারা ব্যবহার করে আরেকটি দূরপাল্লার লক্ষ্যভেদি মিসাইল খোররাম শাহর। এর রেঞ্জ ২ হাজার কিলোমিটার। সর্বশেষ ইরান ব্যবহার করে এমাদ মিসাইল। এগুলোর রেঞ্জ ২ হাজার কিলোমিটার। এগুলো হাইপারসনিক মিসাইল নামেও অভিহিত। এর মধ্যে আরেকটি ডেডলি মিসাইল হলো ফাত্তাহ। ইরান আরও ব্যবহার করেছে ক্রুজ মিসাইল সাওমার।
জন্মের পর থেকে ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের মিসর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি যুদ্ধ করেছে। কিন্তু কোনো দেশ ইসরাইল বা তার সাবেক রাজধানী তেল আবিবে কোনো বোমা ফেলতে পারেনি। কিন্তু এবার কোনো জঙ্গিবিমান ব্যবহার না করেই ইরান তার বিশাল ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার থেকে কয়েকশত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরাইলের তেল আবিব, হাইফা ছাড়াও নেগেভ মরুভূমির নেভাটিম বিমানঘাঁটি, গোলান হাইটসের সামরিক স্থাপনা, দক্ষিণ ইসরাইলের কিছু এলাকা এবং ইসরাইলের দুর্ভেদ্য আয়রন ডোম ভেদ করে জেরুজালেম ও তেল আবিবের কিছু অংশে। ইরানের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আর ৭ থেকে ১০ দিন সময় পেলে ইসরাইলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করত। এর পরেও ইরানের হাতে মজুত রয়েছে ৩ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র। সেজন্যই ইরানকে আর সময় না দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মাথায় যুদ্ধের মঞ্চে সরাসরি আবির্ভূত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এ যুদ্ধে ইরানের একটি বড় দুর্বলতা চোখে পড়েছে। সেটি হলো গোয়েন্দা তথ্যের অভাব। ইসরাইলের প্রথম হামলা ইরানের মধ্য থেকেই হয়েছে। এ হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনীর উপপ্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ, মেজর জেনারেল আলী সামদানি, ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখার প্রধান সাঈদ ইজাদি, আল কুদসের বেনহাম শাহারিয়ার, ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল বাঘৈরি, মেজর জেনারেল আমীর আলী, হাজী জাদেহ, ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি চিফ জেনারেল গোলাম আমীরজা মেহেরাবী। এছাড়া ওই প্রথম রাতেই হত্যা করা হয়েছে ইরানের ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে (মতান্তরে ১৪ জন)। ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭০০ ইহুদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে ইতোমধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায়, আমেরিকা যদি এ যুদ্ধে জড়িত না হতো, তাহলে ইসরাইলসহ পশ্চিম এশিয়ায় ইরান শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হতো। আমেরিকাকে বাদ দিলে বলা যায়, বীর ইরানিরা মৃতুঞ্জয়ী। এ যুদ্ধে জয়লাভ করেছে তারাই। সারা পশ্চিম এশিয়ায় মহান ইসলামের বৈজয়ন্তী উড্ডীন রেখেছে ইরান। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ইরান ঘোষণা করবে, তারা আজ একটি পারমাণবিক শক্তি, যেমন ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নওয়াজ শরিফ ঘোষণা করেছিলেন, আজ থেকে পাকিস্তান বিশ্বের বুকে আরেকটি পারমাণবিক শক্তি।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক