মোস্তাফিজার রহমান (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে বেসরকারি শহীদ আসাদুল্লাহ্ আইডিয়াল হসপিটালে মোছা সোনিয়া আক্তার (৩২}নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় চরম উত্তেজনা।পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।মৃত সোনিয়া আক্তার ঠাকুরগাঁ এলাকার মোঃ জুয়েলের স্ত্রী। এবং দিনাজপুর পৌর শহরের পাটুয়াপাড়া এলাকার মেয়ে সোনিয়া।নিহতের পরিবার জানায়,৭ সপ্তাহের প্রসূতি সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক স্তীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদের শরনাপন্ন হলে বাচ্চা টিউবে আটকে গেছে,দ্রুত অপারেশন করতে হবে বলে জানান।তার নির্দেশ মতো গত ৩০ জুন সোনিয়া আক্তারকে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী জোড়া ব্রীজ সংলগ্ন প্রাইভেট ক্লিনিক শহীদ আসাদুল্লাহ আইডিয়াল হসপিটাল প্রাঃ লিঃ"এ ভর্তি করানো হয়।ডাক্তারের এক প্রকার জোড়া জুড়িতে এবং আজকের মধ্যে অপারেশন করতে না পারলে টিউব ব্লাষ্ট হয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে বলে জানালে প্রসুতির কথা চিন্তা করে অপারেশনে রাজি হই।একই দিন রাতে ডাক্তার ফয়সাল তার অপারেশন সম্পন্ন করে।১জুলাই বিকালে রুগি সোনিয়া প্রচন্ড ব্যাথায় ছটফট করলেও কোন নার্স বা চিকিৎসকের কোন সাড়া মেলিনি।প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে সে বেডেই টয়লেট করে ফেলে।এর কিছুক্ষন পর নার্স এসে ধরাধরি করে বাতরুমে নিয়ে গিয়ে বের হবার পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।পরে ডাক্তার এসে আমাদের মিথ্যে শান্তনা ও লোক দেখানে রুগির জ্ঞান ফেরাতে কিছু ডাক্তারি কৌশল অবলম্বন করে।তবে নিহতের স্বামী,ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারনেই অকালে প্রান দিতে হয়েছে সোনিয়াকে। তবে অনেক ব্যক্তি বলেন ডাঃ ফয়সাল আহাম্মেদ একজন টাকার পিপাসু টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না সে। আর সোনিয়ার এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে আইডিয়াল হাসপাতালে আসতে থাকে নিহত সোনিয়া ও তার স্বামীর ভাই,বোন,বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্খিরা।পরিবারের লোকজন সোনিয়ার এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পার ছিলনা।দুঃখ আর ক্ষোভে ফুসে উঠছিল।পরে সেনাবাহিনী,পুলিশ, দিনাজপুর জেলা বিএনপির কতিপয় সদস্য ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে পরিস্তিতি শান্ত হলে সোনিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তবে ডাক্তার ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।কিন্তু আইডিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার জাফরুল্লাহ্রর কাছে মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে তিনি তেমন কোন সদত্তোর দিতে না পারলেও হার্ট অ্যাটাকে রুগির মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। তবে তার প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে দেয়া মৃত্যুর প্রমানপত্রে মৃত্যুর কোন কারন উল্লেখ ছিল না। প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা পর আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই মৃত্যু দেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।