মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক উদ্ধার কালে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ্অবরুদ্ধ করেছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ্অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনীর টহল দল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সমঝোতায় উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় জনতা কর্তৃক আটককৃত এক মাদক ব্যবসায়ীর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের এক এসআই ক্ষেপে গিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি প্রকাশ ও অপেশাদারমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে।
এতে উত্তেজিত জনতা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৭টার দিকে উপজেলার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় মাদকবিরোধী এক অভিযানে এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই পরিতোষ কুমার রায় ৭ পিস ইয়াবাসহ উপজেলার অনন্ত চন্দ্র মোহন্তের ছেলে সাধন চন্দ্র মোহন্ত (৪০) নামে একজনকে আটক করে। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা মাদক ব্যবসায়ীর ভিডিও ধারণ করতে গেলে পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভঙ্গিমা প্রকাশ করে অশ্রাব্য কথাবার্তা বলেন।
এতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাকে পাশের একটি মার্কেটে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর একটি দল দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় ও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর স্থানীয় জনতা কর্তৃক মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও জনতা তর্ক-বিতর্কে জড়ালে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে শনিবার তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।