শুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

দিনাজপুরে বৃষ্টির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা

প্রতিবেদক
admin
আগস্ট ৮, ২০২৫ ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

আব্দুস সালাম, হেড অব নিউজ (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়েও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনাজপুর জেলার পাটচাষিরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। পানির অভাবে অনেক জায়গায় জমি থেকে কাটা পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষকের কষ্টার্জিত সোনালি আঁশ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৪ হাজার ৩৭২ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ জমির পাট ইতোমধ্যেই কাটা হয়েছে। তবে অনেক চাষি এখনও জমিতে পাট কাটেননি। কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির জন্য।
জেলার সদর উপজেলার উলিপুর, মহব্বতপুর, খাড়িপাড়া, ঘুঘুডাঙ্গা এবং পুনর্ভবা নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে বেশি পরিমাণে পাট চাষ হয়ে থাকে। এসব এলাকায় অনেক কৃষক জানিয়েছেন, খাল-বিল বা নিচু জমিতে পানির ঘাটতির কারণে পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা পাটগাছ বিবর্ণ হয়ে হলদে রঙ ধারণ করছে।
সদর উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক শাহীন আলম জানান, বৃষ্টির অভাবে জমি শুকিয়ে গেছে। অনেক কৃষক আমন ধানের চারা রোপণেও সমস্যায় পড়েছেন। পাট কাটার পর জাগ দেওয়ার মতো পানির ব্যবস্থা না থাকায় তারা অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির জন্য।
চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক কৃষক জমিতেই কাটা পাট রেখে দিয়েছেন বা পাট না কেটে অপেক্ষা করছেন। কোথাও কোথাও নিচু জমিতে জমে থাকা অল্প পানিতে জাগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এতে আঁশ সঠিকভাবে ছাড়ানো ও পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, ফলে বাজারে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে অনেক কৃষক বিকল্প হিসেবে শ্যালো পাম্প ও মোটরের সাহায্যে পুকুর, ডোবা বা ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে অতিরিক্ত খরচের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
খানসামা উপজেলার কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। ফলে জমিতে স্তূপ করে রেখেছি। রোদে পাট শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আনিছুজ্জামান দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আশা করা যাচ্ছে, শ্রাবণ মাসে বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অনেক কৃষক শ্যালো মেশিন দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে পাট জাগ দিচ্ছেন। কৃষকরা বসে নেই, তারা নিজেদের উদ্যোগে সমস্যা মোকাবিলা করছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে জুন মাসে জেলায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে, তাই আগামী দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই মাসেও জুনের মতো বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। পানি সংকটে থাকা পাটচাষিরা এখন তাকিয়ে আছেন শ্রাবণের বৃষ্টির দিকে, যা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারে।

সর্বশেষ - আর্ন্তজাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত

আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নজরদারি করছে র‌্যাব

জাপা নিষিদ্ধের আইনগত দিক যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

মিলেছে ফরেনসিক প্রমাণ : ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ অডিওটি শেখ হাসিনার

একাত্তরে জামায়াতের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া নিয়ে নতুন প্রস্তাব

রাকসু কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ, চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিল রাবি ছাত্রদল

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

হাজারীবাগে কিশোর গ্যাং লিডার ‘ডন সাগর’ অস্ত্রসহ গ্রেফতার

কাহারোলে তরমুজের বাম্পার ফলন : কৃষানীর মুখে হাঁসির ঝিলিক