(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলায় দেওয়া প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা বাতিল করেছে নিউইয়র্কের আপিল আদালত। আদালত এই জরিমানাকে ‘অতিরিক্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে বাতিল করলেও, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত করার রায় বহাল রেখেছে।
এই মামলার মূল অভিযোগ ছিল, ট্রাম্প এবং তার পরিবারের সদস্যরা বেআইনিভাবে সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল—ব্যাংক থেকে ঋণ ও বীমা সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা করা। নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস ২০২২ সালে এই অভিযোগে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প, তার দুই পুত্র এবং তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিচারক আর্থার এনগোরন রায়ে বলেন, ট্রাম্প সম্পদের দাম বাড়িয়ে দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এতে করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। ওই সময় ট্রাম্পকে ৩৫৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা এবং তিন বছরের জন্য নিউইয়র্কে ব্যবসা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে সুদসহ জরিমানার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
তবে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আপিল আদালত বলেছে, এত বড় অঙ্কের জরিমানা আরোপ করা অনুপযুক্ত ছিল। তাই তারা সেটি বাতিল করেছে। তবে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ট্রাম্পকে যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা বহাল থাকবে। ব্যবসা পরিচালনার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেটিও বহাল রয়েছে।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার বিরুদ্ধে একটি বড় জয়। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছিল।
তার ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে দাবি করেন, এই মামলার উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করা। আদালতের এই রায় সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছেন, তারা আপিল আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। -ডেস্ক রিপোর্ট