মোঃ নজরুল ইসলাম (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত নার্সিং সুপার ভাইজার মোর্শেদা খাতুন নিজের দুই সন্তানসহ স্বামীর ১ম ও ২য় পক্ষের আরো ৫ সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে চাকুরি নিয়ে দিয়ে একজন সফল মা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিরামপুর উপজেলার জানিপুর গ্রামের সাধারণ কৃষক ঘরের মেয়ে মোর্শেদা খাতুন নার্সিং প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালে সরকারি হাসপাতালে যোগদান করেন। একনিষ্ঠ ভাবে দায়িত্ব পালন করায় ২০০৭ সালে স্বর্ণ পদক, সফল প্রসবকারী হিসাবে ২০০৯ সালে রাজশাহী বিভাগীয় পুরস্কার অর্জন করেন এবং ২০১৩ সালে হজ মেডিকেল টিমে সেবাদানকারী হিসাবে সৌদি আরবে যান। ব্যক্তি জীবনে একজন ইউনিয়ন সমাজকর্মীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তার স্বামীর পূর্বের মৃত: দুই স্ত্রীর ৫ সন্তান ছিল। বিয়ের পর নার্স মোর্শেদা খাতুন ঐ ৫ সন্তানকে নিবিড় যতœ ও ¯েœহ ভালবাসায় প্রতিপালন করতে থাকেন। পূর্বের ৫ সন্তানকে তিনি উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন এবং যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই বিভিন্ন পদে চাকুরী করছেন। তার নিজের দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে বর্তমানে রাজধানীর একটি বে-সরকারী মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছে এবং ২য় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়াশুনা করছে।
মোর্শেদা খাতুন বলেন, নিজের ও স্বামীর আগের পক্ষের মোট সাত সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পেরে আমি তৃপ্ত। সেই সাথে নার্সিং পেশায় চাকুরী করে মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন।
বিরামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, মোর্শেদা খাতুন একজন বিনয়ী ও দায়িত্বশীল নার্স। তিনি প্রতিনিয়ত সময়ের আগেই কর্মস্থলে আসেন। পেশাদারিত্বে শ্রদ্ধাশীল থাকার কারণেই তিনি ব্যাপক সুনাম ও সাফল্য অর্জন করেছেন। বিরামপুর স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ্যে তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত বিরামপুরের নার্স মোর্শেদা খাতুন এলাকার মডেল
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।